রমজানের পবিত্র মাসে সূর্যোদয় থেকে সূর্যাস্ত পর্যন্ত রোজা বা উপবাস রাখার সময় পানিশূন্যতা একটি বড় চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়ায়। তবে, শরীর সুস্থ ও চাঙ্গা রাখতে পানির ভারসাম্য বজায় রাখাটা খুব জরুরি, বিশেষ করে গরম আবহাওয়ায়। ইফতার এবং সেহরির সময় কিছু সতেজ এবং শরীরকে আর্দ্র রাখার মতো পানীয় আপনার তৃষ্ণা মেটাতে ও শক্তি জোগাতে পারে। এমনই ৫টি পানীয়ের কথা জেনে নিন যা রমজান মাসজুড়ে আপনাকে সুস্থ রাখতে সাহায্য করবে।
১. পুদিনা লেবুর শরবত
পুদিনা লেবুর শরবত শুধু সতেজই নয়, দিনভর রোজা রাখার পর এটি আপনার শরীরকে পুনরায় আর্দ্র করে তোলে। লেবু ও পুদিনার সমন্বয় তৃষ্ণা মেটানোর পাশাপাশি হজমেও সাহায্য করে। লেবুতে প্রচুর ভিটামিন সি থাকে যা আপনার রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়িয়ে তুলবে, আর পুদিনার শীতল প্রভাব গরমের দিনগুলোর জন্য উপযুক্ত।
২. তরমুজের স্মুদি
তরমুজের ৯২% ই পানি, তাই এটি আপনার শরীর আর্দ্র রাখতে দারুণ কাজ করে। তরমুজের স্মুদি একটি মজাদার এবং পুষ্টিকর পানীয় যা তৃষ্ণা মিটিয়ে চাঙ্গা রাখবে।
৩. নারকেল পানি
নারকেল পানি প্রাকৃতিকভাবেই শরীরের জন্য উপকারী। এতে প্রচুর পরিমাণে ইলেক্ট্রোলাইটস যেমন পটাশিয়াম, ম্যাগনেসিয়াম এবং সোডিয়াম থাকে, যা খুব দ্রুত শরীরের পানির ভারসাম্য পুনরুদ্ধারে সাহায্য করে। রমজানের সময় অল্প ক্যালরিতে শরীর আর্দ্র ও কর্মক্ষম রাখতে নারকেল পানি বেশ কার্যকরী।
৪. রুহ আফজা লেমোনেড
দক্ষিণ এশিয়ায় বহুল প্রচলিত রুহ আফজা ঘনীভূত সিরাপটি রমজান মাসে ব্যাপকভাবে পান করা হয়। এটিকে লেবুর রসের সাথে মিশিয়ে তৈরি করা যায় সতেজ ও শরীরকে আর্দ্র রাখার মতো পানীয়, যা গরম উপেক্ষা করতে সাহায্য করে।
৫. শসা ও লেবুর পানি
শসায় পানির পরিমাণ অনেক বেশি তাই এটি আপনার শরীর আর্দ্র রাখার জন্য দারুণ। আর লেবুর সাথে মিশিয়ে পান করলে এটি রমজান মাসে পানিশুন্যতা রোধে অত্যন্ত কার্যকরী একটি পানীয় হয়ে ওঠে।
রমজান মাসে পানিশূন্যতা দূরে রাখুন
গরম আবহাওয়া বা শারীরিক পরিশ্রমের ক্ষেত্রে, রমজানের উপবাসের সময় শরীর আর্দ্র রাখাটা আরো বেশি গুরুত্বপূর্ণ। এই পানীয়গুলো আপনার তৃষ্ণা মেটাতে ও শরীরকে আর্দ্র রাখতে সাহায্য করবে। মনে রাখবেন, যতই উপকারী পানীয় হোক না কেন, সাধারণ পানি ছাড়া আর কোনো কিছুই আপনার শরীরের পানির চাহিদা পুরোপুরি মেটাতে পারে না। তাই ইফতার এবং সেহেরির পাশাপাশি রাতে পর্যাপ্ত পরিমাণে পানি পান করার চেষ্টা করুন। এই সতেজ পানীয়গুলোর সাথে একটি সুস্থ রমজান কাটান।