জাপানের নাগোয়া শহর থেকে ডিপ্রেশন দূর করার জন্য একটা নতুন যন্ত্র আবিষ্কারের খবর পাওয়া গেছে। এই যন্ত্রটা আসলে একটা মাথায় পরার হেডব্যান্ড, যেটা চুম্বকের ক্ষেত্রের সাহায্যে ডিপ্রেশনের উপসর্গ কমাতে পারে। এই আবিষ্কার ওষুধ ছাড়াই ডিপ্রেশনের চিকিৎসার জন্য নতুন আশার আলো দেখাচ্ছে। ডিপ্রেশনের মত জটিল বিষয়ে কাজ করার সাথে সাথে এই যন্ত্রটি মাইগ্রেনের সমস্যাতে সফলভাবে কাজ করেছে ।
কীভাবে কাজ করে এই যন্ত্রটি
নাগোয়া ইউনিভার্সিটি গ্র্যাজুয়েট স্কুল অফ মেডিসিনের গবেষকরা এই যন্ত্রটি তৈরি করেছেন। এর নাম দেওয়া হয়েছে “এক্সট্রিমলি লো ফ্রিকোয়েন্সি ম্যাগনেটিক এনভায়রনমেন্ট” বা ELF-ELME। এটা এমন এক চুম্বক ক্ষেত্র তৈরি করে যা খুব কম কম্পাঙ্কে কাজ করে। এই যন্ত্রটির পরীক্ষা চালানো হয়েছে ডিপ্রেশনে ভোগা চারজন পুরুষের উপর। আট সপ্তাহ ধরে প্রতিদিন দুই ঘন্টা এই হেডব্যান্ড পরার পর তাদের সবার ডিপ্রেশনের লক্ষণগুলো অনেকটাই কমে যায়।
গবেষক দলের প্রধান প্রফেসর তোশিয়া ইনাদা বলছেন, মানসিক স্বাস্থ্যের চিকিৎসায় এই চুম্বক থেরাপি একটা যুগান্তকারী আবিষ্কার হতে পারে। অন্যান্য চিকিৎসার তুলনায় এটা অনেক সহজ এবং পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া নেই। এটা অন্য চিকিৎসার পাশাপাশি ব্যবহার করা যাবে, বা ওষুধ খেতে না চাইলে শুধু এটাই ব্যবহার করা যাবে।
কীভাবে এই যন্ত্র কাজ করে, সেটা নিয়ে এখনও গবেষণা চলছে। তবে ধারণা করা হচ্ছে, এটা শরীরের কোষের একটা গুরুত্বপূর্ণ অংশকে উদ্দীপিত করে যা শক্তি উৎপাদনে সাহায্য করে। ডিপ্রেশনে ভোগা ব্যক্তিরা প্রায়ই শারীরিক দুর্বলতা অনুভব করেন, এই যন্ত্র সেটা দূর করতে পারে।
এই যন্ত্রের চুম্বক ক্ষেত্রটি খুবই দুর্বল, এমনকি জাপানের প্রাকৃতিক চুম্বক ক্ষেত্রের চেয়েও অনেক কম। তাই এটা ব্যবহার করা নিরাপদ এবং এর পার্শ্বপ্রতিক্রিয়ার ঝুঁকি নেই বললেই চলে।
In an exploratory clinical trial, four male patients diagnosed with major depressive disorder underwent eight weeks of treatment with a device that generates a low-frequency ultralow magnetic field environment (ELF-ELME). An improvement in depressive sympthttps://t.co/X7vNtzdpCM
— Michael W. Deem (@Michael_W_Deem) May 7, 2024
যদিও এই গবেষণাটি এখনও ছোট পরিসরে এবং এতে নিয়ন্ত্রণকারী দল ছিল না, তবুও এর ফলাফল আশাব্যঞ্জক। এই যন্ত্রটির নিরাপত্তা, ব্যবহারের মাত্রা এবং কার্যকারিতা সম্পর্কে আরও গবেষণা প্রয়োজন।
প্রফেসর ইনাদা মনে করেন, এই প্রযুক্তি মানসিক স্বাস্থ্যের চিকিৎসায় বিপ্লব ঘটাতে পারে। রোগীরা ঘরে বসেই এই চিকিৎসা নিতে পারবেন এবং ওষুধের ঝামেলা এড়াতে পারবেন। সব মিলিয়ে, ডিপ্রেশন দূর করার জন্য এই নতুন যন্ত্রটি মানুষের জীবনে একটা বড় পরিবর্তন আনতে পারে।