সালমান খানের বাড়ির সামনে গুলিবর্ষণের ঘটনায় বুধবার রাতে হরিয়ানা থেকে আরেকজন ব্যক্তিকে আটক করা হয়েছে। পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, এই ব্যক্তি লরেন্স বিষ্ণোই গ্যাং এবং ইতিমধ্যে পুলিশ হেফাজতে থাকা দুই শুটার, ২৪ বছর বয়সী ভিকি গুপ্ত ও ২১ বছর বয়সী সাগর কুমার পালকের মধ্যে মধ্যস্থতাকারী হিসেবে কাজ করেছিলেন।
রবিবার ভোরে দুই মোটরসাইকেল আরোহী সুপারস্টার সালমান খান মুম্বাইয়ের বান্দ্রার গ্যালাক্সি অ্যাপার্টমেন্টের বাড়ির বাইরে পাঁচ রাউন্ড গুলি চালায়। হামলাকারীরা এরপর দ্রুত ঘটনাস্থল থেকে পালিয়ে যায়। মুম্বাই ক্রাইম ব্রাঞ্চ পরে স্পষ্ট করে জানায় যে এই হামলাটির উদ্দেশ্য ছিল হত্যা করা নয়,বরং সালমান খানকে ভয় দেখানো।
গুলি চালানোর একজন অভিযুক্ত সাগর কুমার পালক ঘটনার মাত্র কয়েক ঘণ্টা আগে আগ্নেয়াস্ত্রটি পেয়েছিলেন বলে জানা যায়। ১৩ই এপ্রিল রাতে বান্দ্রা এলাকা থেকে অস্ত্রটি উদ্ধার করা হয়। তবে অস্ত্র সরবরাহকারীর পরিচয় এখনও অধরা । পুলিশ তাদের তদন্ত অব্যাহত রেখেছে।
বিহারের পশ্চিম চম্পারণের বাসিন্দা এই দুই অভিযুক্তকে সোমবার গভীর রাতে মুম্বাই পুলিশ গুজরাটের কচ্ছ জেলার একটি মন্দির থেকে গ্রেফতার করে। মুম্বাই ক্রাইম ব্রাঞ্চ জানায়, পালক ও গুপ্তার সাথে এই গুলি চালানোর জন্য ৪ লাখ টাকার ডিল হয়েছিল , যেখানে ১ লাখ টাকা অগ্রিম দেওয়া হয়েছিল।
মুম্বাই ক্রাইম ব্রাঞ্চের একজন কর্মকর্তা জানান যে অভিযুক্তরা এর আগে সালমান খানের পানভেল ফার্মহাউস ঘুরে দেখেছিল । বিহারে অভিযুক্ত উভয়ের পরিবারের বক্তব্য নথিভুক্ত করা হয়েছে এবং হরিয়ানা ও অন্যান্য রাজ্যের প্রায় সাতজনকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য তলব করা হয়েছে।
গতকাল মহারাষ্ট্রের মুখ্যমন্ত্রী একনাথ শিন্ডে সালমান খানের সাথে সাক্ষাৎ করেন এবং সহযোগিতার আশ্বাস দেন। তিনি বলেন, যে কোনো ভাবেই এ ধরনের অন্যায়কে বরদাস্ত করা হবে না।
গত বছর, ন্যাশনাল ইনভেস্টিগেশন এজেন্সি (NIA) প্রকাশ করেছিল যে জেলে থাকা গ্যাংস্টার লরেন্স বিষ্ণোই যে দশজন সেলিব্রেটিকে টার্গেট করেছিল, তার শীর্ষে ছিলেন সালমান খান। ১৯৯৮ সালের বিতর্কিত কৃষ্ণসার হরিণ শিকারের ঘটনা থেকেই বিষ্ণোই সম্প্রদায়ের মনে যে ক্ষোভের সৃষ্টি হয়, সে ক্ষোভ থেকেই এই প্রতিশোধস্পৃহা বলে অনেকের অনুমান ।