কিছুদিন আগেই ডার্ক চকোলেট নিয়ে বেশ হইচই হয়েছিল। দেখা গিয়েছিল, বেশ কিছু নামীদামী ব্র্যান্ডের ডার্ক চকোলেটে ক্ষতিকর সীসা ও ক্যাডমিয়ামের মাত্রা বেশি। এ নিয়ে স্বাস্থ্য সচেতন মানুষদের মনে বিভিন্ন প্রশ্ন উঁকি দিয়েছিল, ‘ডার্ক চকোলেট কি আদৌ নিরাপদ? নাকি শরীরের জন্য ক্ষতিকর?’
অবশেষে ডার্ক চকোলেটের ভক্তদের জন্য এল সুখবর! নতুন গবেষণায় উঠে এসেছে ডার্ক চকোলেটের নানা উপকারিতার কথা। এক কথায়, এবার নিশ্চিন্ত মনে ডার্ক চকোলেট উপভোগ করা যাবে!
তুলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের একদল গবেষক এবার সেই জল্পনারই অবসান ঘটিয়েছেন । তারা বিশ্বের নানা প্রান্ত থেকে ১৫৫টি চকোলেট বার সংগ্রহ করে সেগুলিকে পরীক্ষা-নিরীক্ষা চালিয়েছেন। আর সেই পরীক্ষার ফল বলছে, “ডার্ক চকোলেট খাওয়া একেবারেই নিরাপদ, এমনকি উপকারীও বটে!”
গবেষণায় দেখা গেছে, ডার্ক চকোলেটে কপার, আয়রন, ম্যাঙ্গানিজ, ম্যাগনেসিয়াম আর জিঙ্কের মতো অনেক উপকারী খনিজ পদার্থ থাকে। শুধু তাই নয়, কিছু কিছু চকোলেট বারে তো এত পরিমাণে এইসব খনিজ উপাদান থাকে যে একটা বার খেলেই আপনার দৈনিক চাহিদার অর্ধেকেরও বেশি পূরণ হয়ে যেতে পারে! এই খনিজ উপাদানগুলো শুধু শরীরের জন্য প্রয়োজনীয়ই নয়, এরা আপনার শরীরকে ক্ষতিকর ধাতু শোষণ করতেও বাধা দেয়। অর্থাৎ, ডার্ক চকোলেট খেলে আপনার শরীর স্বয়ংক্রিয়ভাবে ক্ষতিকর উপাদানের বিরুদ্ধে লড়াই করার ক্ষমতা অর্জন করবে!
তবে গবেষকরা এটাও স্বীকার করেছেন, কিছু চকোলেট বারে সীসা ও ক্যাডমিয়ামের মাত্রা একটু বেশি থাকতে পারে। যদিও প্রাপ্তবয়স্কদের জন্য এটা তেমন কোনো সমস্যা না, তবে খুব ছোট বাচ্চাদের জন্য এটা একটু ক্ষতিকর হতে পারে। তবে বাচ্চারা এত পরিমাণে চকোলেট খায় না যে ক্ষতি হয়ে যাবে। তাই এ নিয়ে খুব বেশি চিন্তিত হওয়ার দরকার নেই।
এই গবেষণায় চকোলেটের উৎস অনুসারেও ধাতুর পরিমাণের তারতম্য লক্ষ্য করা গেছে। দেখা গেছে, দক্ষিণ আমেরিকার চকোলেটে ক্যাডমিয়াম আর সীসার পরিমাণ অন্যান্য অঞ্চলের চকোলেটের তুলনায় বেশি। এর কারণ হিসেবে গবেষকরা বলছেন, ওই অঞ্চলের মাটিতে এবং চকোলেট প্রক্রিয়াজাত করার পদ্ধতিতে এই ধাতু দু’টো বেশি মাত্রায় উপস্থিত থাকে।
তাই যারা ডার্ক চকোলেটের ভক্ত, তারা এবার নিশ্চিন্তে তাদের পছন্দের এই খাবারটি উপভোগ করতে পারেন। শুধু মুখের স্বাদই মেটাবে না, আপনার শরীরকেও উপকার করবে এই ডার্ক চকোলেট!