সিউড়ির কড়িধ্যা গ্রামে এক মহিলাকে কুপ্রস্তাব দেন বিবেক দাস নামের এক বিজেপি কর্মী। এই কথা জানাজানি হয়ে গেলে সাধারণ মানুষের হাতে বেধড়ক পিটুনি খায় বিবেক দাস। পুলিশ এলে পরিস্থিতি শান্ত হয় কিছুটা। অভিযুক্তকে রক্তাক্ত অবস্থায় উদ্ধার করেন পুলিশ।
অভিযুক্ত বিবেক দাস কড়িধ্যা গ্রামে এক মুদিখানা চালায়। পরিবারের লোকজন জানান তিনি এক বিজেপি কর্মী। ঘটনাটি যখন ঘটে বিবেক এর দোকানে রবিবার এক স্থানীয় বাসিন্দা মহিলা মুদি সামগ্রী কিনতে যায়। মহিলা এলে বিবেক তাকে নাকি কুপ্রস্তাব দেয়… এমনটাই দাবি মহিলাটির। মহিলা সঙ্গে সঙ্গেই প্রতিবাদ করেন তার এই আচরণের বিরুদ্ধে। পাড়ার লোকেদের মধ্যে জানাজানি হয়ে যায় । পরিস্থিতি হয়ে যায় ব্যাপক উত্তেজনাময়। পাড়ার লোকজন আইন-আদালতের পরিবর্তে নিজেরাই তৎক্ষণাৎ শাস্তি দেওয়ার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করে। লাঠিসোঁটা হাতে স্থানীয় বাসিন্দারা ওই বিজেপি কর্মীকে বেধড়ক মারধর করেন। বন্ধ করে দেওয়া হয় মুদিখানার দোকানটি। ভাঙচুর করা হয় তার বাইক এবং দোকানেও। এই ঘটনা ঘটার কিছুক্ষণ পরে ঘটনাস্থলে পৌছান পুলিশবাহিনী। পরিস্থিরি শান্ত করে অভিযুক্ত কে উদ্ধার করেন রক্তাক্ত অবস্থায়। থানায় নিয়ে যাওয়া হয় বিবেক দাস। কিন্তু অভিযুক্ত এর মা এর থেকে শোনা যায় একই ঘটনার অন্য এক ভার্সান। মহিলার স্বামী নাকি ৭০,০০০ টাকা ধার করেন বিবেকের থেকে। বিবেক সেই টাকা দাবি করলে মহিলা এই ধরনের অভিযোগ করেন। সম্পূর্ণ ঘটনার সত্যতা যাচাই করতে খুটিয়ে দেখছে পুলিশ।
যত দিন যাচ্ছে সত্যিই হয়তো মানুষের মধ্যে সহনশীলতা দিন দিন কমে যাচ্ছে। আমাদের দেশের আইন মোতাবেক একজন অভিযুক্ত ততক্ষণ অবধি দোষী নন যতক্ষণ না তিনি দোষী বলে আদালতে প্রমাণ হন । তাতে থাকে আত্মপক্ষ সমর্থনের যথেষ্ট সুযোগ। প্রত্যেক মানুষের কিছু না কিছু বলার থাকে। তা কিছুর না তোয়াক্কা করে কাউকে রাস্তায় পিটিয়ে মারা অসভ্যতার এক চরম নজির যা প্রমাণ করে দু পাশে পাথর জমতে মানুষের হৃদয় থেকে মানবিকতার উৎসমুখ ক্রমশ, ক্রমশ ছোট হয়ে পড়ছে গোমুখের মত।