খাসি স্টুডেন্টস ইউনিয়ন (কেএসইউ) আয়োজিত একটি সিএএ বিরোধী র্যালির কিছুক্ষণ পর মেঘালয়ের ইছামতি গ্রামে বুধবার সন্ধ্যায় দুই ব্যক্তির মৃতদেহ উদ্ধার হয়েছে । স্থানীয় মিডিয়া জানিয়েছে, নিহত দু’জনই মেঘালয়ের আদি বসিন্দাদের অন্তর্ভুক্ত নয় । র্যালির পর দুষ্কৃতীদের দ্বারা নির্যাতনের শিকার হয়ে মারা গেছেন বলে অভিযোগ উঠেছে। তবে পুলিশের পক্ষ থেকে এই ঘটনার কারণ সম্পর্কে নির্দিষ্ট কোনো তথ্য পাওয়া যায় নি । এই ঘটনার পরে এলাকাতে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে ।
পূর্ব খাসি হিলসের পুলিশ সুপার রিতুরাজ রবি দ্য প্রিন্টকে জানিয়েছেন, সিএএ বিরোধী র্যালি এবং এই মৃত্যুর মধ্যে কোনো সম্পর্ক রয়েছে কিনা তা এখনই নিশ্চিত করে বলা যায় না , আমরা গোটা বিষয়টার তদন্ত করছি ।
মৃতদেহ দুটি যথাক্রমে ইছামতি এবং দালদা এলাকায় পাওয়া গেছে, এবং মৃতরা হলেন এল. ইসান সিং এবং এল. সুজিত দত্ত। ময়নাতদন্ত এবং পোস্টমর্টেম এখনও করা হয়নি। স্থানীয় থানা এবং শিলং থেকে অতিরিক্ত দল ঘটনাস্থলে রয়েছে। তবে স্থানীয় পরিস্থিতি এখন অনেকটাই নিয়ন্ত্রণে ।
পুলিশ জানিয়েছে, নিহতদের পরিবার বা তাদের সাথে সম্পর্কিত কেউ এখন পর্যন্ত FIR দায়ের করেনি। মৃতদেহ দুটি স্থানীয় বাসিন্দাদের দ্বারা রাস্তার পাশে উদ্ধার করা হয়েছে ।
খাসি স্টুডেন্টস ইউনিয়ন ও বেশ কয়েকটি সংগঠনে যৌথ সিএএ বিরোধী র্যালি বুধবার দুপুর ৩:৩০ টায় শুরু হয়। কেএসইউ কোনো সদস্য এই ঘটনায় মুখ খুলতে চাননি ।
CAA চালু হওয়ার পর থেকেই উত্তর-পূর্বাঞ্চলের রাজ্যগুলিতে বিশেষত আসামে বিভিন্ন ছাত্র সংগঠন এবং স্থানীয় আঞ্চলিক গণসংগঠন গুলির লাগাতার প্রতিবাদ এবং বিক্ষোভ দেখা গেছে । যারা অসমীয় ভূমিপুত্রদের স্বার্থে বিতর্কিত নাগরিকত্ব সংশোধনী আইন (সিএএ) বাতিলের দাবি জানিয়েছে। প্রতিবেশী দেশের নির্যাতিত সংখ্যালঘুদের ভারতীয় নাগরিকত্ব দেওয়ার এই আইনটি অসমে ব্যাপক প্রতিবাদের মুখোমুখি হয়েছে । যেখানে আদিবাসী জনগণ আশঙ্কা প্রকাশ করেছে যে অভিবাসীদের আগমনে অঞ্চলের জনসংখ্যাগত কাঠামো পরিবর্তিত হতে পারে।