অর্জুনপুর হাই স্কুল থেকে একসাথে গেল ৩৬ জন শিক্ষকের চাকরি… মোট ৬০ জন শিক্ষকের মধ্যে পড়ে রইলেন শুধু ২৪ জন। পড়ুয়া সংখ্যা প্রায় ১০,০০০। এত কম শিক্ষক কীভাবে এত বিপুল পরিমাণ ছাত্রের ক্লাস নেবে? কীভাবেই বা তারা সিলেবাস শেষ করবে?? এই নিয়ে উদবিগ্ন ছাত্র ও অভিভাবক- বৃন্দ।
মুর্শিদাবাদ এর অর্জুনপুর হাইস্কুলে শিক্ষকের সংখ্যা ৬০ জন।পার্শ্বশিক্ষক রয়েছেন ৭ জন। স্থায়ীশিক্ষক ছিল ৫৩ জন। কিন্তু হাইকোর্টের রায় অনুযায়ী যে ২৫ হাজার ৭৫৩ জনের চাকরি গেছে সেই তালিকায় আছে এই স্কুলের ৩৬ জন শিক্ষকের নাম। এর মধ্যে ২০ জন ঐ স্কুলেই যোগদান করেছিলেন এবং বাকি ১৬ জন অন্য স্কুল থেকে বদলি হয়ে এসেছিলেন। এই ঘটনার পর স্কুলের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষকের কথায় ফুটে ওঠে এক বিপুল চিন্তার আভাস। তিনি বলেন, , “প্রায় ১০ হাজারের মতো পড়ুয়া। এক সঙ্গে এত জন শিক্ষকের চাকরি প্রশ্নের মুখে পড়লে স্কুল চলবে কী দিয়ে!” উদবিগ্ন অভিভাবকদের মধ্যে একজন জানান, ” কার চাকরি গেল, আর কার থাকল, সেটা আদালতের বিচার্য বিষয়। কিন্তু, এখন স্কুল যে লাটে উঠছে, তার দায় কে নেবে? কী ভাবে আমাদের ছেলেমেয়েদের পড়াশোনা চলবে?’’ সিলেবাস শেষ হবে কিনা তা নিয়ে চিন্তিত সকল পড়ুয়া। মাধ্যমিক পরীক্ষাত্রীদের মধ্যে এই দুশ্চিন্তার মাত্রা অনেকটাই বেশী। এক দশম শ্রেণির পড়ুয়া জানান, ” ‘‘এক সঙ্গে এত জন মাস্টারমশাই স্কুল থেকে চলে গেলে আমাদের ক্লাস কে নেবে? সামনে তো মাধ্যমিক। সিলেবাসই শেষ না হলে পরীক্ষা দেব কী করে?”