আজ মোট ২১ টি রাজ্য ও কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলে শুরু হয়েছে প্রথম দফার ভোট। উত্তরবঙ্গের তিন কেন্দ্র কোচবিহা্র, জলপাইগুড়ি এবং আলিপুরদুয়ার। কোচবিহারে সকাল থেকেই পরিস্থিতি চরম রূপ ধারণ করেছে। তৃণমূল কংগ্রেসের বুথ সভাপতিকে মেরে হাসপাতালে পাঠিয়ে দেয় বিজেপি বলে অভিযোগ। আবার হিংসার পারদ অনেক দূর অবধহি চড়াতে হাসপাতালে ভরতি হতে হয় উত্তরবঙ্গ উন্নয়ন মন্ত্রী উদয়ন গুহ কে । আলিপুরদুয়ারেও তৈরি হয়েছে যথেষ্ট উত্তেজক পরিস্থিতি। এরই মধ্যে জলপাইগুড়িতে ধূপগুড়ির বিজেপি বুথ অফিসে গেলেন তৃণমূল প্রার্থী। গড়ে তুললেন এক অনন্য সম্প্রীতির নজির।
এবারে ঐ অঞ্চলের তৃণমূল প্রার্থী ধূপগুড়ির বিধায়ক নির্মলচন্দ্র রায়। তিনি হঠাতই ঢুকে পড়েন বিজেপির বুথ অফিসে। জানতে চান ভোট সুষ্ঠু ভাবে পরিচালিত হচ্ছে কি না। কথা বলেন বিজেপি বুথ সভাপতির সঙ্গে। রাজনৈতিক ভাবে ও নিরাপদ অবস্থানে থাকতে চেষ্টা করলেন নির্মলচন্দ্র। পূর্বে একাধিকবার তৃণমূলের নামে এই অভিযোগ উঠেছে যে তারা রিগিং করে জিতেছে। কিন্তু এবার যাতে সেই অভিযোগ আর না করতে পারে তার জন্যেই হয়তো এই পদক্ষেপ তৃণমূল প্রার্থীর। এই প্রসঙ্গে নির্মলচন্দ্রকে জিজ্ঞেস করলে তিনি বলেন, ” ‘এটা সৌজন্যের বিষয়। রাজনৈতিক মতপার্থক্য থাকলেও জলপাইগুড়ি বারবার সৌজন্যের রাজনীতি দেখেছে। এটাও তাই।’
গতবারের বিধানসভা ভোটে শীতলকুচিতে কেন্দ্রীয়বাহিনীর দ্বারা যে মারণখেলার সূত্রপাত হয়েছিল সেই বিষয় তৃণমূল প্রার্থী কে জিজ্ঞেস করলে তিনি জানান “কেন্দ্রীয় বাহিনীর আচরণ নিয়ে আমার অত্যন্ত সংশয় রয়েছে। আমার আগের অভিজ্ঞতা বলে ওদের অতি সক্রিয়তাই বারবার সমস্যা করে। সকাল থেকে ভোট শান্তিপূর্ণ হচ্ছে। কিছু হিংসার ঘটনা ঘটেছে। যার সঙ্গে বিজেপি জড়িত। তবে আবহাওয়া ভাল আছে। সেটাই সুবিধা ভোটারদের কাছে।’ তৃণমূল প্রার্থীর সাথে সাথে বুধ সভাপতি গোলিচন্দ্র রায় ও যথেষ্ট সৌজন্যের বার্তা দিয়ে বলেছেন এই সৌজন্যের নাকি তাদের জলপাইগুড়ির বৈশিষ্ট্য।