লোহিত সাগরে আন্তর্জাতিক জাহাজ গুলির উপরে হুথিদের লাগাতার আক্রমণে খানিকটা বেসামাল আন্তর্জাতিক বাণিজ্য স্বভাবিক ভাবেই আমেরিকাকে ব্যবসায়িক স্বার্থে খানিকটা সমঝোতার মধ্যে আসতে হতে পারে এমনটাই অনুমান করা হচ্ছিল ।
প্যালেস্তাইনের প্রতি সংহতি জানাতে গিয়ে ইরান-সমর্থিত হুথিরা গত বছরের শেষ দিক থেকে আন্তর্জাতিক জাহাজগুলোকে লক্ষ্য করে আসছে। এর জবাবে আমেরিকা ও ব্রিটেন প্রথম থেকে বেশ শক্ত অবস্থানে থাকলেও এবার তারা কূটনৈতিক পথে হাঁটল । সৌদি আরব ও ওমান সফরের পর ইয়েমেনের জন্য নিযুক্ত বিশেষ মার্কিন দূত টিম লেন্ডারকিং বলেন,হুথিদের এই হামলাগুলো ইয়েমেনের শান্তি প্রক্রিয়া ব্যাহত করছে। তিনি জোর দিয়ে বলেন, আমরা কূটনৈতিক সমাধানের পক্ষে। সামরিকভাবে এই সমস্যার কোনো সমাধান নেই। হুথিদের কারণে ইয়েমেনের হোদেইদাহ বন্দরে জাহাজ ভিড়তে পারছে না, সংখ্যাটা প্রায় ১৫% কমে গেছে। এর ফলে মানবিক সাহায্য পাঠানোতে ব্যাঘাত ঘটছে।
ইয়েমেনের আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃত সরকারের সাথে হুথিদের আলোচনায় মধ্যস্থতার ভূমিকা নিচ্ছে সৌদি আরব। এই উদ্যোগকে ইতিবাচক হিসেবে দেখছেন আমেরিকার দূত, এই মুহূর্তকে কাজে লাগিয়ে উত্তেজনা কমানোর চেষ্টা চলছে।
ব্লুমবার্গ নিউজ সূত্রে খবর , আমেরিকা ইতিমধ্যেই হুথিদের উপর থেকে ‘সন্ত্রাসবাদী’ তকমা তুলে নেওয়ার আশ্বাস দিয়েছে যদি তারা লোহিত সাগরে আর বৈদেশিক জাহাজ গুলিকে আক্রমণ না করে ।
এরমধ্যে আবার ইজরায়েল জুড়ে ইরানীয় মিসাইল হামলার আতংকে দিন কাটাচ্ছে সাধারণ নাগরিকেরা , তেল আভিভেও তৈরি করা হয়েছে সেফ শেল্টার । সব মিলিয়ে মধ্যপ্রাচ্যের রাজনীতি এখন তুমুল উত্তাল ।