কৃষ্ণনগর লোকসভা আসনের তেহট্ট বিধানসভায় পরপর দুদিন প্রচার করে যথাক্রমে তৃণমূল ও বিজেপি। তাও আবার এমনি সেমনি নয়। বৃহস্পতিবার মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, শুক্রবার নরেন্দ্র মোদি। তবে কি মহুয়া মৈত্রই এই আসন থেকে ভোটে দাড়িয়েছে বলেই এত তোড়জোড় কেন্দ্র ও রাজ্যের ??
মহুয়া প্রসঙ্গে মমতা বলেন,
“মহুয়াকে নিয়ে ওঁদের খুব জ্বালা। মহুয়া যে মুখের উপর কথা বলে দেয়, ভয় পায় না। মহুয়া বাঘের বাচ্চার মতো লড়াই করে। ও সবাইকে বলে দিয়েছিল দেশে কী চলছে। তাতে কী রাগ! আসলে কেঁচো খুঁড়তে গেলে তো দিল্লির নেতাদের সাপ বেরিয়ে যাবে।’’
মহুয়া মৈত্র কে সংসদ থেকে এই অভিযোগে বহিষ্কার করা হয় যে সে তার লোকসভার ইউজার আইডি ও পাসওয়ার্ড এক দুবাই এর ব্যাবসায়ী দর্শন হিরানান্দানির কে শেয়ার করে ও তার থেকে অগ্রিম অর্থ নিয়ে সংসদে প্রশ্ন করে।স্পিকার ওম বিড়লা তাকে বহিষ্কার করেছিলেন। কিন্তু বহিষ্কারের সময় মহিলা পার্লামেন্টের বাইরে থেকে বলেছিলেন যে তিনি ফিরে আসবেনই। মহুয়াকে বহিষ্কার করার সময় ও তৃণমূল পক্ষে দাবি করা হয় যে মহুয়ার কড়ার প্রশ্নের প্রকোপে ভয় পেয়েই মহুয়াকে বহিষ্কার করা হয়েছে।
শুক্রবার মোদি তেহট্টে বিধানসভার সভাতে এসে নিয়োগ-দূর্নীতি নিয়ে সরব হলেও কিন্তু মহুয়াকে টেনে কোনো কথা বলেননি । ২রা মার্চ যখন মোদি এ অঞ্চলে এসেছিলেন তখন ও মোদি মহুয়া কে সরাসরি আক্রমণ করেননি। মহুয়ার প্রার্থী হিসেবে মননোয়নের পর সুকান্ত মজুমদার শুভেন্দু অধিকারী মহুয়ার লগ ইন আইডি শেয়ার বিতর্ক নিয়ে সরব হয়েছিলেন। কালির সম্পর্কে মহুয়ার বক্তব্য ও মনে করিয়ে দিতে চেয়েছিলেন।
মহুয়ার শানিত বক্তব্য সত্যিই যে বিজেপির এক দুশ্চিন্তার কারণ তা নিয়ে কোনো সন্দেহ নেই। মহুয়ার পার্লামেন্টের বক্তব্যের অংশ ঝড়ের গতিতে ভাইরাল হত সোশাল মিডিয়া মাধ্যমগুলিতে। সেটি ভারতীয় স্তরে মহুয়া মৈত্র ও তৃণমূল কংগ্রেসের পরিচিতি বাড়িয়ে দেয়। তাই বোধহয় বহিষ্কার হবার পরও মমতা ব্যানার্জী ভরসা রেখেছেন মহুয়ার ওপর। সংসদ থেকে বহিষ্কার হবার পর মহুয়া যে ফিরে আসার প্রতিশ্রুতি দেন সে প্রতিশ্রুতি কি তিনি রাখতে পারবেন তা জানা যাবে নির্বাচনের ফলাফল প্রকাশের দিন।