নির্বাচনের দিন হিংসা, বিক্ষোভ ও যাবতীয় কান্ডের জন্য সন্দেশখালিতে জারি হল ১৪৪ ধারা। রবিবার থেকে নির্বাচনের ফল প্রকাশ অবধি চলবে এই ধারা। ৪ জুন পর্যন্ত ন্যাজাট থানা এলাকার সরবেড়িয়া থেকে বয়ারমারি পর্যন্ত লাগু হল এই ধারা। রবিবার সকালে পুলিশ সুপার হোসেন মেহেদি রহমান এই ঘোষণাই করে।
ভোটের দিন আগের রাত থেকেই সন্দেশখালিতে পরিস্থিতি হয়েছিল উত্তেজনা ময়। বেড়মজুর, বয়ারমারি, আগারহাটি, কানমারি ইত্যাদি এলাকার অবস্থা যথেষ্ট সরগরম হয়ে গেছিল। পাথর ছোড়াছুড়ি, লাঠি দিয়ে মারা এমনকি গুলি ছোড়াছুড়ির খবর ও পাওয়া যায় সেইসব অঞ্চল থেকে। কিন্তু এইটুকু নিশ্চিত করে বলা গেছে কোনো প্রাণহানী ঘটেনি।
ভোটের দিনেও দেখা যায় সন্দেশখালির মহিলাদের ‘আন্দোলন’। সন্দেশখালির বয়ারমারি গ্রামে বিজেপির ক্যাম্প অফিসে হামলার অভিযোগ ওঠে। ঠেলাঠেলি, মারধর, পুলিশের লাঠিচার্জ হয়। সন্দেশখালির ঘটনায় ‘অ্যাকশন টেকেন’ রিপোর্ট চেয়েছিল নির্বাচন কমিশন। এক ভিডিও এ বিজেপি প্রার্থী রেখা পাত্র এর সঙ্গে পুলিশের সংঘর্ষ দেখা যায়। সেখানে রেখাকে দেখা যায় পুলিশকে তীব্রভাবে ভৎসনা করতে। ৫০-৬০ জনের তৃণমূলের বাইক বাহিনীর বিরুদ্ধে অভিযোগও ওঠে। এক্স হ্যান্ডলে (সাবেক টুইটার) নির্বাচনে হিংসার কথা উল্লেখ করে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কাছে রিপোর্ট তলব করেন রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস।
এহেন উত্তপ্ত রাজনৈতিক পরিস্থিতিতেই জারি করা হল ১৪৪ ধারা। ফলে ৪ জুন অবধি কোনো মিছিল মিটিং কেউ করতে পারবে না। নির্দিষ্ট নিয়ম অনুযায়ী, ৫ জনের বেশী এক জায়গায় জড়ো হতে পারবে না। কোনো ধারাল বা বে-আইনি অস্ত্র কোনো মানুষের হাতে দেখলে তাকে গ্রেফতার করবে পুলিশ।
সন্দেশখালির এখন দেশের রাজনীতির নিরিখে একটি গুরুত্বপূর্ণ আসন হয়ে উঠেছে। সবারই চোখ রয়েছে বসিরহাট লোকসভা কেন্দ্রের দিকে। একের পর এক ঘটনাপ্রবাহ সাহাজাহান এর ফেরার হওয়া থেকে শুরু করে স্টিং অপারেশনে উঠে আসা বিজেপির চক্রান্তের ন্যারেটিভ সবকিছুর মধ্যে মানুষ কাকে নির্বাচন করে সাংসদ হিসেবে তা জানা যাবে ফলাফল প্রকাশের দিন।