রাজভবনে পুলিশের ঢোকা নিষিদ্ধ এমন কোনো অফিশিয়াল নিষেধাজ্ঞা নাকি পাননি পুলিশ। তাই লালবাজারে অবাধে ঢুকে গেলেন পুলিশ। পুলিশ সূত্রে খবর তথ্য ও প্রমাণ অনুসন্ধানের জন্য যা যা প্রয়োজন হয় পুলিশ তা করবে।
রাজ্যপালের শ্লীলতাহানির অভিযোগ তদন্ত করতেই গঠন করা হয়েছে বিশেষ অনুসন্ধাঙ্কারী দল। তাতে নেতৃত্ব দিচ্ছেন ডিসি ( সেন্ট্রাল) ইন্দিরা। শুক্রবার এই দল যান রাজভবনে শ্লীলতাহানি অভিযোগ বিষয় তদারকি করতে। বৃহস্পতিবার রাতে রাজভবের এক অস্থায়ী কর্মীর জারি করা অভিযোগের ভিত্তিতেই রাজ্যপালের বিরুদ্ধে ওঠে শ্লীলতাহানির গুরুতর অভিযোগ। যদিও এই অভিযোগকে সম্পূর্ণ ভাবে নস্যাৎ করে তার বিরুদ্ধে চক্রান্তের অভিযোগ তোলে রাজ্যপাল। জারি করে মন্ত্রী চন্দ্রিমা ভট্যাচার্য ও পুলিশের বিরুদ্ধে রাজভবনে প্রবেশের নিষেধাজ্ঞা। চন্দ্রিমা ভট্যাচার্যের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেবার কথাও বলেছেন রাজ্যপাল। কিন্তু কলকাতা ডিসি(সেন্ট্রাল) জানান যে এরকম কোনো অফিশিয়াল নির্দেশিকা তাদের কাছে এসে পৌছয়নি। এই বিষয় কি কি পদল্লহেপ নেওয়া উচিৎ তা নিয়ে অনুসন্ধান করছে পুলিশ। কারণ রাজ্যপাল সাংবিধানিক রক্ষাকবচ পান , যার ফলে তার বিরুদ্ধে ফৌজদারি পদক্ষেপ নেওয়া যায় না। এই বিষয় পরের পদক্ষেপ কি হতে পারে তা নিয়ে সংবিধান বিশেষজ্ঞদের সাথেও কথা বলছে লালবাজার।
এই প্রসঙ্গে ত্রিপুরার প্রাক্তন রাজ্যপাল তথাগত রায় বলেন , ‘‘সংবিধানের অনুচ্ছেদ ৩৬১ অনুসারে, রাষ্ট্রপতি এবং রাজ্যপালদের বিরুদ্ধে কোনও ফৌজদারি পদক্ষেপ করা যায় না।” পাশাপাশি তিনি আরও বলেন ,
“…এই মহিলাকে ভারতীয় দণ্ডবিধির ২১১ নং ধারায় অভিযুক্ত করা উচিত। “
– তথাগত রায়
পশ্চিমবঙ্গের রাজ্যপাল সি ভি আনন্দ বোসের বিরুদ্ধে অভিযোগ করা হয়েছে তিনি নাকি রাজভবনের এক অস্থায়ী মহিলা কর্মীর শ্লীলতাহানি করেছেন।
— Tathagata Roy (@tathagata2) May 2, 2024
যারা শ্লীলতাহানি করে তারা সুযোগ পেলেই যে মহিলাকেই পায় তার সঙ্গেই এই কাজ করে বা চেষ্টা করে । তার ফলে তাদের ‘সুনাম’ দিগ্বিদিকে ছড়িয়ে পড়ে। সি ভি…