মধ্যরাতে দেশে ফেরার পরেই গ্রেফতার হলেন পলাতক জেডিএস নেতা তথা বিদায়ী সাংসদ প্রজ্বল রেভান্না। শতাধিক মহিলাকে যৌন হেনস্তা ও ধর্ষণ করে তাদের ভিডিও বানাতেন প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রীর নাতি প্রজ্জ্বল। জার্মানি থেকে দেশে ফেরার পর এয়ারপোর্ট থেকেই গ্রেফতার করে একঝাক মহিলা পুলিশ।
প্রজ্জ্বলের বিরুদ্ধে ঐ ভিডিও গুলো প্রমাণ হিসেবে পাবার পরই জার্মানির মিউনিকে পালিয়ে যান তিনি। ততদিনে তার কারসাজিগুলো মানুষের সামনে উঠে আসে। আরও পরিষ্কার হয় বিজেপির সাথে তার সম্পর্ক। কীভাবে মোদিই স্বয়ং এসে প্রজ্জ্বল এর জন্য করে গেছেন ভোট প্রচার। এই প্রজ্জ্বলের জার্মানিতে ফেরার হয়ে যাওয়া নিয়েও প্রশাসন এর দায়িত্ববোধ নিয়েও একাধিক প্রশ্ন উঠেছিল। কীভাবে প্রশাসনের চোখে ধুলো দিয়ে এরকম এক ঘৃণ্য অপরাধী বিদেশে চলে গেল ?
A Big Salute to Karnataka police 🫡
— Crazy Arpita (@ArpitaKiVines) May 31, 2024
Prajwal Revanna who was accused of Raping many women was caught red handed at the Bengaluru Airport !!
People like these should be tortured brutally 😡#PrajwalRevanna #sexscandal pic.twitter.com/A7IjbwkNjG
যদিও এখন প্রজ্জ্বলের আইনজীবি বলেন,” , “প্রজ্বল আমাকে বলেছেন, তিনি বেঙ্গালুরুতে ফিরেছেন। কারণ, তিনি নিজের কথা রাখতে চান। তিনি আইনের মুখোমুখি হতে প্রস্তুত। তিনি এ-ও বলেছেন যে, বিশেষ তদন্তকারী দল (সিট)-এর সঙ্গে তিনি সম্পূর্ণ সহযোগিতা করতে চান।” কিন্তু সত্যিই যদি তদন্তে সহোযোগিতা করতে হয় তাহলে বিদেশে পালিয়ে যাওয়ার প্রয়োজন কি ছিল? নির্বাচন প্রায় শেষ হবার পরেই কেন ফিরে এল প্রজ্জ্বল? মাঝে কেন এল না?? এই নিয়েও প্রশ্ন তুলছে অনেকেই।
৬ ই জুন অবধি পুলিশের কাস্টাডি তে রাখা হবে প্রজ্জ্বলকে। অন্য দিকে, একটি অপহরণের মামলায় প্রজ্বলের মা ভবানী রেভান্নাকে তলব করেছে কর্নাটক পুলিশের সিট।কর্নাটক হাই কোর্টের দ্বারস্থ হয়ে ইতিমধ্যেই এই মামলায় আগাম জামিনের আর্জি জানিয়েছেন ভবানী। যদিও জামিন এখনো মেলেনি। যদিও স্বামীকে একই মামলায় ধরা হলেও অন্তবর্তীকালিন জামিন পেয়ে বাইরে আছেন এইচিডি রেভান্না। পুরো পরিবারই ভারতের রাজনীতি এবং কোনো না কোনো ক্রিমিনাল অ্যাক্টিভিটির সাথে যুক্ত। এইধরনের উদাহরণ গুলোই ভারতের রাজনীতির ছবি স্পষ্ট করে।