কলকাতা হাইকোর্টের নির্দেশ অনুযায়ী প্রায় ২৬০০০ জন চাকরি হারান। এর মধ্যেই সবাই কিন্তু বেআইনি উপায় চাকরি পেয়েছেন এমন টা নয়। ২০১৬ এর গোটা প্যানেলকেই বাতিল করার নির্দেশ দিয়েছে উচ্চ আদালত। রাজ্য সরকার এই বিষয় বলেন যে সবার চাকরি না ই বাতিল করতে পারত হাইকোর্ট। শুধু সিবিয়াই তদন্তে উঠে আসা বে-আইনি দের চাকরি বাতিল করত। ৫০০০ অভিযুক্তের জন্য কেন প্রায় ২৬০০০ জন কে ভুগতে হবে?
সোমা দাস নামক এক ক্যানসার আক্রান্ত মহিলা ছাড়া মোট ২৫ হাজার ৭৫৩ জন এর চাকরি বাতিল এর নির্দেশ দেওয়া হয়। হাইকোর্টের এই বিতর্কিত রায় এর পর চাকরিপ্রার্থীদের আইনজীবি ফিরদৌস শামীম এর কথামত রাজ্য সরকারের ‘গাফিলতির’ কারণেই প্রায় ২৬ হাজার জন চাকরি হারালেন। রাজ্যসরকারকে প্রকৃত চাকরিপ্রাপক দের তালিকা দেওয়ার নির্দেশ হাইকোর্ট দিলেও রাজ্যসরকার তা করেননি। আবার এসএসসির যত সুপারিশ ছিল, তার থেকে বেশি লোক চাকরি করছে। অর্থাৎ সুপার নিউমেরারি পোস্টেও প্রচুর বেআইনিভাবে চাকরি পেয়েছে। সেই কারণেই নাকি কোর্ট সমস্ত ২০১৬ এর প্যানেলের সব চাকরি বাতিল করতে বাধ্য হচ্ছে।
মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এই রায় কে “বে-আইনি” বলে ঘোষণা করেন। রায় এর সাথে সাথে শুভেন্দু অধিকারীকেও কড়া সমালোচনা করে তৃণমূল সুপ্রিমো বলেন, ” ‘বলছে বোমা ফাটাবে। বোমা কী? ২৬ হাজার লোকের চাকরি খেয়ে নিচ্ছে। মানুষের জীবনকে মৃত্যুর দিকে ঠেলে দেওয়ার নাম বোমা। কোর্ট কী রায় দেবে আগে জানলি কী ভাবে? সোমবার রায় দেবে, শনিবার জানলি কী ভাবে? যদি রায় নিজেরা লিখে না দিস?’ এস-এস-সি চেয়ারম্যান সিদ্ধার্থ মজুমদার এই রায় কে সুপ্রিম কোর্টে চ্যালেঞ্জ জানানোর ইঙ্গিত দিয়েছেন স্পষ্টভাবে। তৃণমূল সাংসদ তথা চাকরিপ্রাপক দের পক্ষের আইনজীবি কল্যাণ ব্যানার্জী জানান, ” আমি আশা করি, পাঁচ মিনিটে এই রায়ের ওপর স্থগিতাদেশ দেবে সুপ্রিম কোর্ট।