একটি মর্মান্তিক ঘটনায় দক্ষিণ অস্ট্রেলিয়ার সমুদ্র উপকূলে এক কিশোর বালকের মাছ ধরার অভিযান প্রাণঘাতী হয়ে ওঠে, যখন একটি হোয়াইট শার্ক হঠাৎ তার পা-টা কামড়ে ধরে। হোয়াইট শার্কের আক্রমণ
দক্ষিণ অস্ট্রেলিয়ার সমুদ্র উপকূল থেকে প্রায় দুই মাইল দূরে ১৬ বছরের নাথান নেস তার বাবা মাইকেল নেসের সাথে মাছ ধরছিলেন। মোবাইলে বাবার সাথে মাছ ধরার দৃশ্য ফ্রেমবন্দী করার সময় আচমকাই একটি হোয়াইট শার্ক হঠাৎ তার পা-টা কামড়ে ধরে।
হোয়াইট শার্ক তাদের বিশাল আকার আর মাংস ছিঁড়ে খাওয়ার জন্য তৈরি ধারালো দাঁতের জন্য কুখ্যাত। সেই শার্কের কামড়েই কিশোরটির পায়ে গভীর ক্ষতের সৃষ্টি হয়।
এমন বিপদজনক মুহূর্তে কোনো দ্বিধা না করেই ছেলেটির বাবা মাইকেল নেস সাহসিকতার সাথে ওই শার্কের মোকাবিলা করেন। ছেলেকে বাঁচাতে তিনি শার্কটির মুখের ভেতর হাত ঢুকিয়ে মুখ খুলিয়ে দেন । ফলে ছেলেটির পা ছাড়িয়ে নেওয়ার পর শার্কটি সাগরে ফিরে যায়।
এই ঘটনার সাথে সাথেই উপকূলীয় প্যারামেডিকরা তৎক্ষণাৎ ছুটে আসেন। রক্তপাত বন্ধ করার জন্য প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে দ্রুত নাথানকে রয়্যাল অ্যাডিলেড হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। অ্যাম্বুলেন্স সার্ভিসের মুখপাত্র ক্রেইগ মার্ডি জানান, কিশোরটির পায়ে তিনটি গভীর ক্ষত হয়েছে, সম্ভবত শার্কের দাঁতের আঘাতে।
যে হোয়াইট শার্কটি এই ঘটনার জন্য দায়ী, সে প্রায় ৬ ফুট লম্বা ছিল। তবে এটা তুলনামূলকভাবে ছোট শার্ক, তারপরও এটি কোনো অংশে কম বিপজ্জনক ছিল না।
মানুষের ওপর অকারণ হামলার জন্য হোয়াইট শার্করা বেশ কুখ্যাত। অস্ট্রেলিয়ার জলে শার্ক আর মানুষের সংঘর্ষ এই প্রথম নয়। যদিও তাদের আক্রমণ তুলনামূলকভাবে কম হয়, ইন্টারন্যাশনাল শার্ক অ্যাটাক ফাইল অনুযায়ী ১৭০০ সাল থেকে দক্ষিণ অস্ট্রেলিয়ার অঞ্চলে মাত্র ৪৭টি অকারণ আক্রমণের ঘটনা নথিভুক্ত হয়েছে।