বাজাজ তাদের প্রথম সিএনজি মোটরসাইকেল নিয়ে ইতিমধ্যেই বিরাট আলোড়ন ফেলে দিয়েছে । আগামী ৫ জুলাই এই বাইকটির লঞ্চের জন্য দিনক্ষণ নির্ধারণ করা হয়েছে, যেখানে বাজাজ গ্রুপের এমডি রাজীব বাজাজ অনুষ্ঠানের সঞ্চালনা করবেন এবং সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক মন্ত্রী নিতিন গডকড়ি বাইকটি উন্মোচন করবেন। সম্ভাব্য ‘ব্রুজার’ নামের এই নতুন মোটরসাইকেলটি দুই চাকার বাজারে একটি একটি নতুন ইতিহাস তৈরি করতে চলেছে ।
বাজাজ সিএনজি বাইকটি সিএনজি এবং পেট্রোল উভয় জ্বালানি বিকল্প সহ বিশ্বের প্রথম মোটরসাইকেল হিসাবে ইতিহাস সৃষ্টি করতে চলেছে। এই দ্বৈত-জ্বালানি বিকল্প রাইডারদের তাদের প্রয়োজন অনুসারে সিএনজি এবং পেট্রোলের মধ্যে স্যুইচ করার সুযোগ দেবে । বাইকটি সফল হলে তা শুধু ভারত নয় সারা বিশ্বের বাইক ইন্ডস্ট্রিতে এক বিরাট প্রভাব ফেলবে ।
নানান লিক এবং ব্লু-প্রিন্ট এ বাজাজ সিএনজি বাইকের উদ্ভাবনী নকশার একটি পরিচ্ছন্ন ছবি পাওয়া গিয়েছে । সিএনজি ট্যাঙ্কটি বুদ্ধিদীপ্তভাবে মোটরসাইকেলের কাঠামোর সাথে একীভূত করা হয়েছে, যা অতিরিক্ত সেফটি হিসাবেও কাজ করবে ।
বাজাজ সিএনজি বাইকের অন্যতম উল্লেখযোগ্য সুবিধা হল খরচ কমার সম্ভাবনা। ভারতে সিএনজি পেট্রোলের তুলনায় যথেষ্ট সস্তা। উদাহরণস্বরূপ, কলকাতায় সিএনজির দাম গড় প্রতি কেজি প্রায় ৭৫ টাকা, যেখানে পেট্রোল প্রতি লিটার মোটামুটি প্রায় ৯৫ টাকা। এই দামের ফারাক বিরাট হয়ে দাঁড়ায় বিশেষ করে প্রতিদিন যাতায়াতকারী এবং লং রাইডারদের জন্য। উপরন্তু, সিএনজি পেট্রোলের তুলনায় একটি পরিষ্কার জ্বালানি, যার ফলে নির্গমন কম হয় এবং পরিবেশগত লো ফুটপ্রিন্ট ।
traditional entry-level commuter motorcycles (100cc-110cc) এর পারফরম্যান্সের সাথে সামঞ্জস্য রাখার জন্য, বাজাজ সিএনজি বাইকে সম্ভবত একটি উচ্চ ক্ষমতা সম্পন্ন ইঞ্জিন থাকবে। একটি ১২৫ সিসি ইঞ্জিন হতে পারে বলে আশা করা হচ্ছে, যা পর্যাপ্ত শক্তি প্রদানের পাশাপাশি দ্বৈত-জ্বালানি সিস্টেমকে ব্যালান্স করবে । বাজাজ ইতিমধ্যেই CT 125X এবং Pulsar 125 এর মতো মডেলগুলিতে ১২৫ সিসি ইঞ্জিন ব্যবহার করে, তাই এটা সম্ভব যে নতুন সিএনজি বাইকে সিএনজি এবং পেট্রোল উভয়কে সাপোর্ট করার জন্য অনেক পরিবর্তন আনা হবে ।