কেরল থেকে কলকাতা বিমানবন্দরে নেমে এলেন রাজ্যপাল। এয়ারপোর্টের বাইরে দেখা যেতেই সাংবাদিকরা ছেকে ধরে তাকে। শ্লীলতাহানি বিষয় মমতার বক্তব্যের প্রত্যুত্তরে মমতার উদ্দেশ্যে রাজ্যপাল বলেন ,” আমি আপনাদের বলতে বাধ্য হচ্ছি যে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় একজন রাজনীতিবিদ হিসেবে তার রাজনীতি নোংরা।” তিনি নাকি মমতার “দিদিগিরি” আর মেনে নেবেন না ।
সম্প্রতি রাজভবনে কর্মরতা এক এক চুক্তিভিত্তিক মহিলা কর্মীর বিরুদ্ধে শ্লীলতাহানির অভিযোগ ওঠে রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস এর বিরুদ্ধে। রাজ্যপাল তার বিরুদ্ধে করা সেই সমস্ত অভিযোগ অস্বীকার করলেও তৃণমূল নেতারা তাকে কটাক্ষ করতে ছাড়েননি। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ও এই সুযোগে কড়া ভাষায় আক্রমণ করেছে রাজ্যপাল কে। তিনি বলেছেন,” ‘একটা ছোট্ট মেয়ে রাজভবনে চাকরি করত। তার সঙ্গে কী ব্যবহার করেছেন মাননীয় রাজ্যপাল মহাশয়? কালকে মেয়েটির কান্না আমার হৃদয় বিদারণ করেছে।’
রাজ্যপাল কে এই বিষয় জিজ্ঞেস করলে তিনি জানান, ” রাজ্যপালের রাজনীতি থেকে দূরে থাকার কথা। এখন আমি খুবই দুঃখিত যে মুখ্যমন্ত্রী আমাকে রাজনীতিতে টেনেছেন ” । তিনি আরো বলেন, ” আমি আপনাদের বলতে বাধ্য হচ্ছি যে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় একজন রাজনীতিবিদ হিসেবে তার রাজনীতি নোংরা। তারপরও ঈশ্বরের কাছে প্রার্থনা করি তাকে বাঁচানোর জন্য। কিন্তু এটা ঈশ্বরের জন্যও কঠিন দায়িত্ব। আমি এই ‘দিদি গিরি’কে কখনই মেনে নেব না।’
রাজ্যপাল দাদাগিরি দেখিয়েছে না মমতা ব্যানার্জী এই বিষয় দিদিগিরি দেখিয়েছে তা এক জটিল প্রশ্নের বিষয়। মন্ত্রী চন্দ্রিমা ভট্যাচার্য্য রাজ্যপাল কে কড়া ভাষায় কটাক্ষ করে বলে তার রাজভবনে প্রবেশ নিষিদ্ধ করে দেয় রাজ্যপাল। রাজ্যপাল এর বিরুদ্ধে সরাসরি ফৌজদারি পদক্ষেপ নেওয়া সম্ভব না বলে একটি এনকোয়ারি টিম গঠন করে তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ। রাজভবনের কাছে সিসিটিভি ফুটেজ চেয়ে পাঠানো হয়েছে এবং রাজভবনের কর্মী কেও ডেকে পাঠানো হয়েছে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য। যদিও রাজভবনের কর্মীকে জিজ্ঞাসাবাদে অংশগ্রহণ করতে মানা করা হয়েছে রাজভবন থেকে। এই সাংবিধানিক শিল্ড এর মধ্যে থাকার ফলে পুলিশ কে এই বিষয় তদন্ত করতে কতটা কাঠখর পোড়াতে হয় সেটা দেখবার বিষয়।