বুধবার সকালে হাওয়াই জাহাজে দিল্লি পাড়ি দিলেন রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস। সঙ্গে ছিল আগাম জামিন পাওয়া রাজভবনের ওএসডি সন্দীপ সিং রাজপুত। বিতর্কিত অভিযোগের তদন্ত এড়াতেই কি রাজ্যপালের দিল্লি সফর ? নাকি মোদির থেকে নিজের কর্মকান্ড থেকে বাচার উপায় জানতেই দিল্লি সফর রাজ্যপালের?
শ্লীলতাহানি কাণ্ডে রাজভবনের তিন কর্মীর বিরুদ্ধে পুলিশ এফআইআর করেছিল। এদের মধ্যে ছিল রাজভবনের বিশেষ সচিব এসএস রাজপুত এবং দুই চুক্তিভিত্তিক কর্মী – কুসুম ছেত্রী ও সন্ত লাল। তিন কর্মীকে হেয়ার স্ট্রিট থানায় তলব করা হয়। প্রথমে রবিবার ডাকা হয় তাদের। কিন্তু সেদিন হাজিরা না দেওয়া হয় মঙ্গলবার তলব জানাতে বলে পুলিশ। তবে মঙ্গলবার দুপুর নাগাদ রাজভবনের ৩ কর্মীকে ৫০০ টাকার ব্যক্তিগত বন্ডে জামিন দেয় ব্যাঙ্কশাল আদালত। আর আজ সকালে রাজ্যপালের সঙ্গে দিল্লি গেলেন এস এস রাজপুত।
মে মাসের ২ তারিখে খুজে পাওয়া সিসিটিভে ফুটেজে দেখা যায় কুসুম ছেত্রীকে। অভিযোগকারী মহিলা যখন সিড়ি থেকে নীচে নেমে যাচ্ছেন তখন তাকে মহিলার ব্যাগ হাতে দেখা যায় সেই ভিডিওতে। তা থেকেই কলকাতা পুলীশ অনুমান করে যে কুসুম ছেত্রী মহিলাকে অভিযোগ দায়ের করতে বাধাদান করেছিল। রিপোর্টে আরও দাবি করা হয় যে মহিলা পুলিশের কাছে যাওয়ার আগে অভিযোগকারিনী সচিবের ঘরে গেছিলেন এবং সেখানে ১৫ থেকে ১৬ মিনিট ছিলেন।
প্রথমে রাজভবনের চুক্তিভিত্তিক কর্মচারী মহিলাকে যৌন হেনস্থার অভিযোগ, তারপর অনুষ্ঠানের নাম করে দিল্লিতে নিয়ে গিয়ে নৃত্যশিল্পী কে যৌন হেনস্থার অভিযোগ… এক এক করে রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোসের পর্দা ফাঁস হচ্ছে সাধারণ মানুষের কাছে। তদন্তে একফোটা সহায়তা কিন্তু করছেন না রাজ্যপাল। বরং যত রকম ভাবে নিজের রাজ্যপাল পদের জন্য লাভ করা সাংবিধানিক শিল্ড এর সুযোগ নিয়ে পুলিশি অনুসন্ধান কে যত সম্ভব রোখা যায় তার ই প্রয়াস করছেন তিনি। আর বুধবার সকালে তিনি অন্তবর্তীকালীন জামিন পাওয়া দুই সহকারীকে কে নিয়ে উড়ে গেলেন দিল্লি।