শুক্রবার কেন্দ্রীয় সরকার নতুন ইলেকট্রিক গাড়ির জন্য (EV) নতুন নীতি অনুমোদন করেছে। এর ফলে যেসব সংস্থা দেশে ইলেকট্রিক গাড়ি তৈরির কারখানা স্থাপন করবে, তারা অনেক কম ট্যাক্স দিয়ে সীমিত সংখ্যক গাড়ি আমদানি করতে পারবে।
নতুন নীতি অনুযায়ী, ইলেকট্রিক গাড়ি নির্মাতাদের কমপক্ষে ৪,১৪৫ কোটি টাকা (৫০০ মিলিয়ন ডলার) বিনিয়োগ করতে হবে, তবে সর্বোচ্চ বিনিয়োগের কোনও সীমা নেই। যারা তিন বছরের মধ্যে ভারতে কারখানা তৈরি করবে, তাদের ক্ষেত্রে সর্বনিম্ন ৩৫,০০০ ডলার (প্রায় ২৯ লাখ টাকা) মূল্যের ইলেকট্রিক গাড়িগুলির জন্য পাঁচ বছরের মেয়াদে আমদানি ট্যাক্স ১৫ শতাংশ হবে। সাধারণভাবে, ভারত সরকার আমদানিকৃত গাড়ির মূল্যের উপর ভিত্তি করে ৭০ থেকে ১০০ শতাংশ ট্যাক্স নেয়।
বাণিজ্য ও শিল্প মন্ত্রকের বিবৃতি অনুসারে, নতুন নীতি টেসলা, রিভিয়ান, লুসিড ইত্যাদি গাড়ি নির্মাতাদের উপকার করবে। এর লক্ষ্য ভারতকে ইলেকট্রিক গাড়ি উৎপাদনের গন্তব্য হিসেবে প্রচার করা। ফলে সুনামী আন্তর্জাতিক ইভি নির্মাতারাও এখানে বিনিয়োগ করতে উৎসাহিত হবে।
প্রসঙ্গত, আমদানি ট্যাক্স কমানোর জন্য টেসলা ভারত সরকারের সাথে আলোচনায় ছিল। কোম্পানির সিইও এলন মাস্ক গত জুনে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর সাথে বৈঠক করেছিলেন। বৈঠকের পর মাস্ক বলেছিলেন যে টেসলা “যত তাড়াতাড়ি সম্ভব” ভারতে আসতে চায়।
তবে মারুতি সুজুকি, টাটা মোটরস এবং হুন্ডাইয়ের মতো ভারতীয় গাড়ি নির্মাতারা টেসলা-র মতো বিলাসবহুল ইলেকট্রিক গাড়ির উপর আমদানি ট্যাক্স কমানোর বিরোধিতা করেছিল।
নতুন নীতিতে, সংস্থাগুলিকে ভারতে তৈরির কারখানা স্থাপন এবং ইলেকট্রিক গাড়ির বাণিজ্যিক উৎপাদন শুরু করতে তিন বছর সময় দেওয়া হবে। তৃতীয় বছরের মধ্যে ২৫ শতাংশ এবং পাঁচ বছরের মধ্যে ৫০ শতাংশ গাড়ির যন্ত্রাংশ দেশেই তৈরি করতে হবে।
মন্ত্রকের তরফে বলা হয়েছে, “যদি বিনিয়োগ ৮০০ মিলিয়ন ডলার বা তার বেশি হয়, তাহলে বছরে সর্বোচ্চ ৮,০০০-র বেশি নয়, মোট ৪০,০০০ ইলেকট্রিক গাড়ি আমদানির অনুমতি দেওয়া হবে। যে বিনিয়োগ করা হবে বা ৬,৪৮৪ কোটি টাকা, তার মধ্যে যেটা কম হবে, সেই পরিমাণ ট্যাক্স মকুব করা হবে।”