ভোটের দিনেও হিংসাত্মক পরিস্থিতিতে সরগরম বসিরহাট লোকসভা কেন্দ্রের সন্দেশখালি। হিংসাত্মক ঘটনায় তৃণমূল-বিজেপি দুই পক্ষেই ঝড়েছে রক্ত। তা নিয়ে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কাছে রিপোর্ট তলব করলেন রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস।
শুক্রবার রাত থেকেই সন্দেশখালিতে চড়ে উত্তেজনার পারদ। অভিযোগ, বেড়মজুর এলাকায় ভোটের আগের রাতে পুলিশ ঢুকে পড়েছিল। পরে গ্রামবাসীরা বিক্ষোভ প্রদর্শন করলে পুলিশ সেই ধৃতদের ছেড়ে দিতে বাধ্য হয়। শনিবার বেলার দিকে দক্ষিণ খুলনার ১৭৭ নম্বর বুথে তৃণমূলের এক কর্মী রামকৃষ্ণ মন্ডল মার খান। তৃণমূল এই দায় বিজেপি কে পুরোপুরি দোষী বললেও বিজেপি সেই দায় অস্বীকার করে অন্য এক ন্যারেটিভ তৈরি করে। তারা বলে বুথ দখল করতে যাওয়ায় গ্রামবাসীরাই মেরেছেন রামকৃষ্ণকে। খুলনা থেকে এই হিংসার ঝড় বিয়ে যায় বয়ারমারিতে। তৃণমূলের বুথ দখলের প্রতিবাদ করতে যাওয়ায় তাঁকে বাঁশ, লাঠি দিয়ে মারধর করা হয়।
She is roaring like the real Bengal Tigress . Kudos to her spirit. Rekha Patra of #Sandeshkhali is winning the hearts already.
— Arpita Chatterjee ( Modi Ka Parivar) (@asliarpita) June 1, 2024
What #ExitPoll is saying ? pic.twitter.com/ahgeeSMx6e
কর্মী সমর্থকদের মারধোর করার অভিযোগে বিজেপি রাস্তা অবরোধ করে। পুলিশ সেই অবরোধে বলপ্রয়োগ করে। এই অবরোধ ও সংঘর্ষে বয়মারিতে আহত হন তৃণমূল কংগ্রেসের অঞ্চল সভাপতি নলিনী খাটুয়া এবং বিজেপি কর্মী কিঙ্কর জানা। রাজবাড়ি এলাকার সংঘর্ষে স্থানীয় এক মহিলা আহত হয়। বেড়মজুরে শেষবেলার ভোট চলাকালীন ঢিল লেগে মাথা ফাটে এক পুলিশকর্মীর।
বয়মারিতে তৃণমূলের বিরুদ্ধে অভিযোগ যে তারা বিজেপি কর্মীর দিকে গুলি চালিয়েছে। যদিও গুলি লাগেনি কারোরই। বিজেপি কর্মী শঙ্কর দাস দাবি করে বলেন, ‘‘আমাদের কর্মীকে লক্ষ্য করে গুলি চালানো হয়েছিল। যদিও গুলি তাঁর লাগেনি। তৃণমূলের লোক এ সব করেছে।’’ যদিও পুলিশ এখনো নিশ্চিত করে কিছু বলেনি।
জেলে আছেন সন্দেশখালির বাদশা শাহজাহান। সন্দেশখালিতে ঘটে যাওয়ায় নির্বাচনকালে হিংসা এ তার কতটা পরোক্ষ হাত আছে তা বলা মুশকিল তবুও জেলে থাকলেও শাহজহানের প্রভাব সন্দেশখালিতে অবশ্যই বিদ্যমান।