সাধারণ মানুষের জমি দখল করে ভেড়ি , জমি থেকে শুরু করে মহিলাদের সম্মান দখল করার পর এবার কয়লা চোরের দলেও নাম লেখালেন শেখ সাহজাহান। শাহজাহান বেআইনি ভাবে কয়লা থেকেও তোলা আদায় করতেন বলে অভিযোগ। কয়লার জোগানে শাহজাহান এবং তাঁর দলবলকে টাকা দিতে হত। কর হিসাবেই ওই টাকা তাঁরা নিতেন বলে অভিযোগ।
দুর্নীতির মাধ্যমে ২৬১ কোটি টাকা আয় করেছেন শাহজাহান, দাবি ইডির। জমির জবরদখল থেকে গরীব মানুষকে বন্দুকের নলের সামনে ধরে পরিবেশের পক্ষে ক্ষতিকর চিংড়ির চাষ ছাড়াঅ কয়লা চুরিতেও সক্রিয় ভাবে যুক্ত ছিল শাহজাহান। শাহজাহান শেখ সাবিনা ফিশার সাপ্লায়ার, শেখ সাবিনা মাছের আড়তের মাধ্যমেও দুর্নীতি করেছেন বলে ইডির অভিযোগ।
মার্কেট থেকে কমিশন এবং ভাড়া বাবদ টাকা তুলতেন তিনি। এ ছাড়াও অভিযোগের তালিকায় রয়েছে ইটভাটার দুর্নীতি। সূত্রের খবর, কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা জানতে পেরেছে, সন্দেশখালিতে গুন্ডাদের একটি দল তৈরি করেছিলেন শাহজাহানেরা। শক্তিশালী রাজনৈতিক ব্যক্তিত্বের হাত ছিল তাঁদের মাথায়। ইডির দাবি, রেশন ‘দুর্নীতি’কাণ্ডে ধৃত রাজ্যের প্রাক্তন মন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিকের সহায়তাতেই শাহজাহানদের বাড়বাড়ন্ত হয় সন্দেশখালিতে।
শাহজাহান বর্তমানে জেলে। সন্দেশখালিতে প্রথমবার ইডি শাহজাহান কে গ্রেফতার করতে যাওয়ায় মার খেয়েছিল প্রকাশ্যে। শাহাজাহান বহুদিন পালিয়ে থেকে আন্ডারগ্রাউন্ড ছিল। অবশেষে ইডির হাতে ধরা দেয় শাহজাহান। যদিও সন্দেশখালি নিয়ে অনেক জল গড়িয়েছে। স্টিং অপারেশন গুলোতে নতুন রকম তথ্য উঠে এসেছে। শোনা গেছে সবকিছুই নাকি বিজেপির সাজানো ঘটনা। পরবর্তী তদন্তে উঠে আসা তথ্য-প্রমাণাদির ওপর নির্ভর করছে শেখ সাহজাহানের সাজা কতটা জোরদার হতে চলেছে।