আজ, মঙ্গলবার প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী বাংলায় সফরে এসেছেন। প্রথমে অশোকনগর তারপর বারুইপুরে জনসভা করে উত্তর কলকাতায় রোড শো করবে প্রধানমন্ত্রী। এই আবহে তৃণমূল কংগ্রেস আজ প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর বিলাসবহুল জীবনযাত্রা নিয়ে কটাক্ষ করেছে।
প্রধানমন্ত্রী নির্বাচরী প্রচারে সর্বক্ষণ নিজেকে তপস্বী বলে প্রচার করে থাকেন। একবার তিনি নিজেকে ফকির বলে পরিচয় দিয়েছিলেন। কিন্তু তার এই বিলাসবহুল জীবনযাত্রা একেবারেই তপস্বী বা ফকিরের জীবনযাত্রার সাথে মিল খায় না। প্রধানমন্ত্রীকে আজ তীব্রভাবে কটাক্ষ করেছে তৃণমূল কংগ্রেস। দামি সানগ্লাস দামি কোট দামি ঘড়ি পড়ে নিজেকে ফকির বলে পরিচয় দেওয়া প্রধানমন্ত্রী প্রকৃতপক্ষে একজন ভন্ড,…এমনভাবেই সমালোচনা করে তৃণমূল। অথচ বাংলার ১০০ দিনের কাজের টাকা এবং আবাস যোজনার টাকা গত তিন বছর ধরে আটকে রাখা হয়েছে বলেও সমালোচনা করেছে তৃণমূল কংগ্রেস।
নিজের ট্যুইটার হ্যান্ডেলে পয়সা মন্ত্রী বলে মোদিকে কটাক্ষ করে সেই ভিডিও প্রকাশ করে। তাতে প্রধানমন্ত্রীর বিদেশ ভ্রমণের বিপুল অর্থব্যায় থেকে শুরু করে ৮ লাখ এর ফেসিয়াল সবকিছুকেই প্রকাশ্যে আনে। আজ, তৃণমূল কংগ্রেস তাদের অফিসিয়াল এক্স হ্যান্ডেলে সেসব পোস্ট করেছে। আর সেখানে লিখেছে, ‘আরে আমি তো ফকির লোক। ঝোলা নিয়ে বেরিয়ে পড়ব। অথচ প্রধানমন্ত্রীর হোটেলের বিল ৮০ লাখ। এই করদাতাদের টাকা কেমনভাবে ফকিরের বৈভবের জীবনযাত্রায় ব্যয় হচ্ছে দেখুন। লজ্জা। এটা কেমন মন্ত্রী? পয়সা মন্ত্রী।’
Kaisa Mantri?
— All India Trinamool Congress (@AITCofficial) May 28, 2024
Paisa Mantri. pic.twitter.com/OKsHQHAn8r
এর আগেও প্রধানমন্ত্রীকে “প্রচার মন্ত্রী” বলে খোচা দিয়েছিল তৃণমূল। এ প্রসঙ্গে তৃণমূল কংগ্রেসের রাজ্যসভার সাংসদ সাগরিকা ঘোষ বলেছিলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী মোদীর বাংলায় নির্বাচনের ফলাফল নিয়ে কথা না বলাই উচিত। কারণ তিনি পরিযায়ী পাখি, যে কেবল নির্বাচনের সময় আসেন। তিনি বাংলাকে চেনেনই না। বরং তিনি আগে এই প্রশ্নগুলির উত্তর দিন। ২০২১ সালের বিধানসভা নির্বাচনে পরাজয়ের পর কেন তিনি বাংলার ১০০ দিনের কাজের টাকা ও আবাস যোজনার টাকা আটকালেন? বিজেপির অনুষ্ঠান চলাকালীন বিদ্যাসাগরের আবক্ষ মূর্তি ভাঙার জন্য তিনি বা অন্য বিজেপি নেতারা কবে ক্ষমা চাইবেন? বিজেপি যেভাবে আমাদের শ্রদ্ধেয় সারদা মাকে অপমান করেছে, তার জন্য তিনি কবে ক্ষমা চাইবেন?’