ভোট পরবর্তী INDIA জোটের অবস্থান নিয়েই দিল্লিতে বৈঠকে ডাক দিলেন দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়াল। বিরোধী সবকটি দলকেই বৈঠকে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে বলে খবর। থাকবেন স্ট্যালিন, রাহুল গান্ধী , তেজস্বী এবং অখিলেশ যাদবরা। তবে তৃণমূলের তরফে কারও এই বৈঠকে যোগদানের সম্ভবনা নেই বলেই এখনও পর্যন্ত খবর।
আবগারি মামলায় ধৃত কেজরিওয়ালের অন্তর্বর্তীকালীন জামিনের মেয়াদ শেষ হবে ২রা জুন। জামিনের মেয়াদ বাড়ানোর আবেদন সুপ্রিম কোর্টে জানালেও তার প্রত্যুত্বর এখনো পাওয়া যায়নি। তাই এর মাঝেই ১ লা জুন কেজরিওয়াল সেরে ফেলতে চাইছে জোটের ভবিষ্যৎ বিষয় এর বৈঠক। নির্বাচন পরবর্তী জোটের সমীকরণ থেকে শুরু করে অন্যান্য রাজনৈতিক কর্মসূচি কোন পথে এগোবে, সেসব নিয়ে আলোচনা হবে , সকল বিষয় নিয়েই আলোচনা হবে সেই বৈঠকে।
যদিও ইন্ডিয়া জোটের অন্যতম অংশ হিসেবে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় উপস্থিত থেকেছেন বৈঠকে। মমতা না থাকলেও সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায় বা ডেরেক ও ব্রায়েন বৈঠকে উপস্থিত থাকতেন। যদিও পশ্চিমবঙ্গের ক্ষেত্রে এই জোট কার্যকরী হয়নি । এর দোষ তৃণমূল সম্পূর্ণ দিয়েছে অধীর রঞ্জন চৌধুরিকে। যদিও সূত্রের খবর ১ লা জুনের মিটিং এ তৃণমূলের কোনো প্রতিনিধিই উপস্থিত থাকতে পারবেন না। ১ লা জুন বাংলার সর্বোচ্চ ৯ টি আসনে নির্বাচন থাকার জন্যেই নাকি দিল্লিতে কোনো প্রতিনিধি পাঠাতে পারবে না তৃণমূল, এমনটাই দাবি করেছে শীর্ষস্থানীয় নেতারা। ফলে এই প্রশ্নটা স্বাভাবিক ভাবেই উঠে আসছে যে ইন্ডিয়া জোট থেকে এখনই কি দূরত্ব বাড়াতে চাইছেন মমতা ?