রবিবার ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু বলেছেন, তার সরকার সর্বসম্মতিক্রমে আল জাজিরা চ্যানেলটি বন্ধ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে।ইসরায়েলের যোগাযোগ মন্ত্রী শ্লোমো কার্হি বলেছেন যে তিনি ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রীর সাথে একটি পৃথক যৌথ বিবৃতিতে চ্যানেলটি বন্ধ করার, সরঞ্জাম বাজেয়াপ্ত করার এবং আল জাজিরার ওয়েবসাইটে সম্প্রচার সীমাবদ্ধ করার আদেশ জারি করেছেন।
7 অক্টোবর গাজায় যুদ্ধ শুরু হওয়ার পর থেকে, আল জাজিরা ইসরায়েলের অভিযানের প্রভাব সম্পর্কে অবিরাম অন-দ্য গ্রাউন্ড রিপোর্টিং সম্প্রচার করেছে। ইজরায়েল এর অমানবিক আগ্রাসন যে গাজা কে বিধ্বস্ত ও সন্ত্রস্ত করে দিয়েছে। বিভিন্ন পরিসংখ্যান মোতাবেক এখনও যদি এই আগ্রাসন থামানো না যায় তো পরবর্তী পঞ্চাশ টা বছর পরেও একটা সুন্দর ভোর গাজায় দেখা দেবে না। শিশু নারী নির্বিশেষে হত্যা, বোম্বিং অনবরত, হাসপাতাল ও ইউনিভার্সিটি কে ধ্বংস করে দেওয়া, সবই করে চলেছে। আল জাজিরা ক্রমাগত তাদের এই আগ্রাসন কে লাইভ ভিডিও তে সবার সামনে তুলে ধরেছে। তাই এখন এই আগ্রাসন এর মুখে প্রতিরোধভিত্তিক সংবাদ পরিবেশন করা আল জাজিরা কে এক উস্কানি নাম দিয়েছেন ইজরায়েল সরকার।
এই আদেশের পর আল জাজিরা টুইট করে জানায় যে,
“আমরা ইসরায়েলের এই অপরাধমূলক কাজের নিন্দা জানাই যা তথ্য অ্যাক্সেসের মানবাধিকার লঙ্ঘন করে,”
এই আদেশের চব্বিশ টা ঘণ্টা পেরোতে না পেরোতেই যোগাযোগ মন্ত্রকের পরিদর্শকরা, পুলিশের সাথে, জেরুজালেমের আল জাজিরা অফিসে পৌঁছে, সরঞ্জাম বাজেয়াপ্ত করে এবং অ্যাক্সেস বন্ধ করে দেয়। ইসরায়েল জুড়ে আল জাজিরার সম্প্রচার এবং এর ওয়েবসাইটের অ্যাক্সেস বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে।
এই একনায়ক তন্ত্র এবং গাজার সাধারণ মানুষদের রক্তাক্ত লাশ, বোম্বিং করে এলাকাকে নিমেষে ধূলো করে দেওয়ার আগ্রাসন এর বিরুদ্ধে সম্প্রচারের জন্যেই আল জাজিরার উপরে এই আক্রমণ । ইজরায়েল এর এরকম আগ্রাসন people’s right কেও ক্ষুণ্ন করে এবং তীব্র নিন্দনীয় ।