৩২ মিনিট ৪৩ সেকেন্ডের একটি স্টিং ভিডিইয়ো সোশাল মিডিয়ায় ভাইরাল হবার পর থেকে রাজ্য রাজনীতিতে তোলপাড় শুরু হয়ে যায়। এই ভিডিও সামনে আসতেই ঘুরে যায় সন্দেশখালি কান্ডের মোড়।
যদিও বিজেপি ওই ভিডিও কে ফেক অথবা ডিপফেক বলছে… কিন্তু আবার তৃণমূল শিবির থেকে বলা হচ্ছে সেটাই নাকি সন্দেশখালি কান্ডের মূল সত্য। কিন্তু স্টিং ভিডিও সম্পর্কে প্রশ্ন করলেই খোশমেজাজে শাহজাহান। হাসতে থাকেন তার ভাই আলমগীর। শাহজাহান বলেন , “ফেক না, ওটা অরিজিনালই।”
স্টিং ভিডিওটি ভাইরাল না হওয়া পর্যন্ত মুখে কুলুপ এটেই থাকতেন শাহজাহান। ২৯ শে এপ্রিল শুনানির আগে উদ্ধার হওয়া অস্ত্র নিয়ে শাহজাহান কে প্রশ্ন করলে কোনো উত্তর দেয়না শাহজাহান। ২৩ এপ্রিল এই বসিরহাট কোর্টেই হাজির করানো হলে কান্নায় ফেটে পড়েন সন্দেশখালির বাদশা। ভিডিও ভাইরাল হবার পর নিজের নির্দোষ ছবি তুলে ধরতেই কি এবার সহানুভূতি আদায় এর চেষ্টা করছে শাহজাহান? এই নিয়েই নেট মাধ্যমে জল্পনা তুঙ্গে উঠেছে। ভিডিও টি গোপন ক্যামেরার মাধ্যমে করা। সেখানে বিজেপি নেতা গঙ্গাধর কয়ালকে বলতে শোনা যাচ্ছে যে সন্দেশখালির সব্ব ঘটনাই পরিকল্পনামাফিক সাজানো ঘটনা। গঙ্গাধরকে একটি মহিলার নাম করে সেই ভিডিও এ বলতে শোনা যায় যাকে নাকি সাত-আট মাস আগে গণধর্ষণ হয়েছে বলে অভিযোগ করতে শিখিয়ে দেওয়া হয়েছিল। তিনি নাকি তা ই করেছেন।
যেহেতু ভিডিও টি একটি গোপন ক্যামেরা এ তোলা তাই ভিডিওটির সত্যতা এখনো যাচাই করা যায়নি। যদিও ভিডিওর গঙ্গাধর তার সেই ভাইরাল ভিডিও প্রসঙ্গে কেন্দ্রীয় তদন্তকারীর সংস্থার নির্ভেজাল তদন্ত আশা করেছেন। তিনি নিজেও যদিও সেই ভিডিও কে বিকৃত বলে দাবি করেছেন।