রাজ্যে দুদফা ভোট বেশ শান্তিপূর্ণ ভাবেই মিটেছে। কিন্তু তৃতীয় দফা বেশ অন্যরকম। 6 মে রাত থেকেই ডোমকলে শুরু হয় বোমাবাজি। সকালেও বোমাবাজি হয়েছে একপ্রস্থ। অশান্তি রুখতে ময়দানে মুর্শিদাবাদের সিপিএম প্রার্থী মহম্মদ সেলিম।
সকালে খবর মেলে রানিনগর ৩৪ বুথে সিপিএমের এজেন্টকে মারধর করে বের করে দেওয়া হয়েছে। মার খেয়ে ওই এজেন্ট কলাবাগানে লুকিয়ে পড়েন। এরপরেই সেলিম পৌঁছান গোপীনাথপুর শিশু শিক্ষাকেন্দ্রের বুথের ভোটগ্রহণ কেন্দ্রে ।কলার ধরে ভুয়ো এজেন্টকে টেনে বের করেন সেলিম। অবশেষে ওই ভুয়ো এজেন্টকে গ্রেপ্তার করা হয়।
এর পরই পাহাড়পুর পঞ্চায়েতের লোচনপুরে অশান্তির পরিস্থিতি তৈরি হয়। অভিযোগ, বিক্ষোভের মুখে পড়েন মুর্শিদাবাদের সিপিএম প্রার্থী মহম্মদ সেলিম। তৃণমূল কর্মী-সমর্থকরা তাঁকে ঘিরে ‘গো ব্যাক’ স্লোগান দেয় ফলে পালটা ধস্তাধস্তিতে জড়িয়ে পড়েন তিনিও। মুর্শিদাবাদের সিপিএম প্রার্থীর বিরুদ্ধে তৃণমূলের বুথ সভাপতিকে মারধরের অভিযোগও উঠেছে। মহম্মদ সেলিমের দাবি, লোচনপুরে বুথে অবৈধ জমায়েত করা হয়েছে। পুলিশ সুপারের কাছে অভিযোগ জানিয়েছেন তিনি। আর সেই অভিযোগের ভিত্তিতে ইতিমধ্যেই একজনকে আটক করা হয়েছে। এই ঘটনায় জেলাশাসককে পদক্ষেপের নির্দেশ নির্বাচন কমিশনের।
জঙ্গিপুরে অজগরপাড়া ৮৮ নম্বর বুথে হাতাহাতিতে জড়িয়ে পড়েন সেখানকার বিজেপি প্রার্থী ধনঞ্জয় ঘোষ এবং রঘুনাথগঞ্জ ১ নম্বর ব্লকের তৃণমূল সভাপতি গৌতম ঘোষ।কেন্দ্রীয় বাহিনীর মধ্যস্থতায় পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আসে।
তৃতীয় দফায় রাজ্যের বিভিন্ন স্থানে তৃণমূল , বিজেপি , সিপিআইএম এবং আরও দলগুলির মধ্যে এই ধরনের হাতাহাতি, ধস্তাধস্তি বুথ গুলিতে আশঙ্কা র পরিবেশ তৈরি করেছে , আশা করা যায় প্রশাসন ও নির্বাচন কমিশন শান্তি বজায় রাখতে আরও তৎপর হয়ে উঠবে।