ভেলোর ইনস্টিটিউট অফ টেকনোলজির কম্পিউটার সায়েন্সের ছাত্রী প্রিয়াঞ্জলি গুপ্তা, এক অভিনব AI-ভিত্তিক মডেল তৈরি করেছেন যা শ্রবণ প্রতিবন্ধীদের জন্য যোগাযোগের যে সীমাবদ্ধতা রয়েছে তা পূরণ করার লক্ষে এগিয়ে চলেছে । এই প্রযুক্তি শ্রবণ প্রতিবন্ধীদের কাছে একটা আশীর্বাদ স্বরূপ ।
প্রিয়াঞ্জলির এই প্রকল্পটি কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার শক্তি কাজে লাগিয়ে জটিল সাংকেতিক ভাষার ইশারাগুলিকে বোধগম্য ইংরেজি লেখা ও কথায় অনুবাদ করে। মডেলটি উন্নত মেশিন লার্নিং অ্যালগরিদম এবং কম্পিউটার ভিশন প্রযুক্তি ব্যবহার করে হাতের চলন এবং মুখের অভিব্যক্তির সূক্ষ্ম নড়াচড়া অনুধাবন করে সাংকেতিক ভাষাকে বিশ্লেষণ করে তা ইংরেজিতে লিখে দেয় ।
এমন একটি মডেল তৈরি করতে গিয়ে প্রিয়াঞ্জলি কয়েক বছরের কঠোর প্রোগ্রামিং এবং সাংকেতিক ভাষা এবং এআই প্রযুক্তির নিয়ে গভীর অধ্যয়ন করেছেন।দীর্ঘ কয়েক বছর ধরে তিনি তার সিস্টেমকে বিশাল ডেটাসেটের সাংকেতিক ভাষার ইশারাগুলি দিয়ে প্রশিক্ষণ দিয়েছেন, যাতে বাস্তব সময়ে অনুবাদের নির্ভুলতা ও নির্ভরযোগ্যতা নিশ্চিত করা যায়।
A computer science student named Priyanjali Gupta, studying in her third year at Vellore Institute of Technology, has developed an AI-based model that can translate sign language into English. pic.twitter.com/BJRyJNjzmh
— Historic Vids (@historyinmemes) May 8, 2024
এই এআই অনুবাদক শুধু একটি প্রযুক্তিগত বিস্ময় নয়, এটি একটি আলোকবর্তিকা। এটি শিক্ষা, স্বাস্থ্যসেবা এবং কর্মস্থলে বধির এবং শ্রবণ প্রতিবন্ধী সম্প্রদায়ের সামনে অনেক বাধা দূর করার সম্ভাবনা তৈরি করেছে । সাংকেতিক ভাষাকে কথিত এবং লিখিত ইংরেজিতে রূপান্তর করে, প্রিয়াঞ্জলির মডেলটি সেইসব মানুষের সাথে নিরবচ্ছিন্ন যোগাযোগ সম্ভব করে তোলে যারা সাংকেতিক ভাষা জানেন না ।
অর্থাৎ এবার থেকে এই এআই মডেলটিকে ব্যবহার করে একজন শ্রবণ প্রতিবন্ধী খুব সহজেই অন্য একজন সাধারণ মানুষের সাথে কথা বলতে পারবেন এমনকি গল্পও করতে পারবেন । সাংকেতিক ভাষা ও কথ্য ভাষার মধ্যে যে ব্যবধান ছিল তা ঘোচাবে এই সাংকেতিক ল্যাঙ্গুয়েজ মডেলটি ।
এমন প্রযুক্তির সামাজিক প্রভাব অনেক গভীর। এটি বধির সম্প্রদায়কে সামাজিক যোগাযোগ এবং পেশাগত পরিবেশে আরও স্বাধীন এবং আত্মবিশ্বাস করে তুলবে । এছাড়াও, এই টুলটি বিভিন্ন ডিজিটাল প্ল্যাটফর্ম এবং ডিভাইসে একীভূত করা যেতে পারে, যা বহু জীবনের ক্ষেত্রে শ্রবণ প্রতিবন্ধীদের জন্য অ্যাক্সেসিবিলিটি এবং ইন্টারঅ্যাকশন বাড়াবে ।
প্রায় তিন বছর ধরে কাজ করার পর এখন এই সাংকেতিক ল্যাঙ্গুয়েজ মডেলটি যথেষ্ট উন্নত , এই প্রযুক্তিটিকে কীভাবে সর্বসাধারণের কাছে পৌঁছে দেওয়া সম্ভব সেটা নিয়েই এখন ভাবনাচিন্তা করছেন প্রিয়াঞ্জলি ।