আগামী ১৩ই মে রাণাঘাটের লোকসভা ভোট। এই ভোটের আগেই রাণাঘাটে বিজেপির অন্দরে হয়ে গেছে বিপুল গোষ্ঠী দন্দ্ব। এই পরিস্থিতিতেই তৃণমূল প্রার্থী মুকুট মণী অধিকারীর হয়ে প্রচার করতে আসেন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। প্রচারে এসে বিজেপি কে কড়া হাত নিলেন তিনি। সিএএ, এনআরসি নিয়েও মুখ খুলতে ছাড়লেন না অভিষেক।
একেবারে প্রথম থেকেই তৃণমূল দল সিএএ এনআরসির বিরোধিতা করে এসেছে। তারা বলে সিএএ এনআরসি নাকি নাগরিকত্ব কেড়ে নেওয়ার আইন। কিন্তু বিজেপির কথায় প্রতিবার ধরা পড়ে অন্যসুর। তারা বলে সিএএ নাকি নাগরিকত্ব প্রদানের আইন। অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় সেদিন রাণাঘাটের সভা থেকেই বললেন, ”বিজেপি অনেক জায়গায় বলছে, সিএএ নাগরিকত্ব দেওয়ার আইন, কেড়ে নেওয়ার নয়। তর্কের খাতিরে ধরে নিয়ে বলছি, যারা আবেদন করবে তাদের ৭ দিনের মধ্যে নাগরিকত্ব দিন।” এমনকি তিনি বলেন তিনি নাকি সিএএ কে সমর্থন করবেন। কিন্তু তার জন্য এক শর্ত বেধে দিলেন ডায়মন্ড হারবারের প্রার্থী। তিনি জানান, “কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রদপ্তর নোটিফিকেশন করে যদি বলে যে, ভারতবর্ষে আমরা সিএএ-র পর এনআরসি করব না, আমি সিএএ-কে সমর্থন করব।”
রাণাঘাটের বিদায়ী সাংসদ ও বিজেপি প্রার্থী জগন্নাথ সরকারকেও সরাসরি আক্রমণ করেন অভিষেক। তাকে দিল্লির চাটুকার বলেও মন্তব্য করেন অভিষেক। সভা থেকে তিনি জানান, “আমি চ্যালেঞ্জ করে বলছি জগন্নাথ সরকার কোথাও গত পাঁচ বছরে উন্নয়নমূলক আলোচনা করেননি। শুধু তাই নয় রানাঘাটবাসীর জন্য লোকসভায় তিনি কোন প্রশ্ন করেননি। শুধুমাত্র দিল্লির তাঁবেদারি করে গিয়েছেন। দিল্লি থেকে যা নির্দেশ দিয়েছেন, তিনি তাই শুনেছেন। আর এসি ঘরে বসে মানুষের মজা দেখেছেন।” তাতশিল্পীদের জন্য ও মোদি সরকার কিছুই করেন নি এমনটাই দাবি অভিষেকের। সভার শেষের দিকে বিজেপি নেত্রী দীপা চক্রবর্তীর অডিও বার্তা শোনান অভিষেক। সেখানে দীপা চক্রবর্তীকে স্পষ্ট বলতে শোনা যায় , “ভোটে বিজেপি জিতলে ৩ মাসের মধ্যে রাজ্য সরকার পড়ে যাবে। লক্ষ্মীর ভাণ্ডার বেশিদিন চলবে না। লক্ষ্মীর ভাণ্ডার বন্ধ হয়ে যাবে।”
শেষে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় এর হাত থেকে তৃণমূল পতাকা তুলে নেন বিজেপি নেত্রী পূর্ণিমা দত্ত। তিনি বলেন, “গত ৫ বছর বিজেপির বিদায়ী সাংসদ জগন্নাথ সরকার শুধু বেইমানি করেছেন। তাই বিজেপির প্রতি আস্থা হারিয়ে তৃণমূলে যোগদান।”