শুক্রবার রাণাঘাটে বিজেপি প্রার্থী জগন্নাথ সরকারের প্রচারে গিয়ে সন্দেশখালি ও সিএএ ইস্যুতে হুঙ্কার দিলেন অমিত শাহ। সন্দেশখালির তৃণমূল নেতাদের দূর্নীতিগ্রস্ত এবং চোর বলে কড়া হাত নিলেন অমিত শাহ। ঘোষণা করেন প্রার্থী জগন্নাথ সরকারকে ভোট দেওয়ার অর্থ মোদিজিকেই ভোট দেওয়া।
প্রথমে স্টিং অপারেশন তারপর সন্দেশখালির প্রকাশ্য স্বীকারোক্তি অনেকটাই ঘুরিয়ে দিয়েছে সন্দেশখালি কান্ডের মোড়। তৃণমূল প্রথম থেকেই এই গোটা ঘটনাকে চক্রান্ত বলে যাচ্ছিল। তাদের এই যুক্তি আরো মজবুত হয়েছে। অপরদিকে বিজেপি সন্দেশখালি ইস্যু কে কেন্দ্র করে যে নির্বাচনী মুনাফা লাভের চেষ্টা চালাচ্ছিল তা হয়ে পড়েছে অনেকটাই শিথীল। কিন্তু ভাইরাল হওয়া ভিডিও নিয়ে কোনো কথা না বলেই শাহ মঞ্চ থেকে বলেন, ” আমরা সন্দেশখালির অপরাধীদের উল্টো করে ঝোলাব।” মমতা ব্যনার্জী কে আক্রমণ করে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী হুঙ্কার দেন, ” ‘মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় একজন মহিলা মুখ্যমন্ত্রী। তাঁর উপস্থিতিতে মহিলাদের শোষণ করা হয়েছে ধর্মের ভিত্তিতে।” স্বভাবতই সন্দেশখালি কান্ডকে হিন্দু মুসলিম ভেদাভেদের রঙে রাঙিয়ে বক্তব্য রাখতে একফোটা পিছুপা হন না তিনি।
মতুয়া অধ্যুষিত রাণাঘাটে সিএএ নিয়েও সোচ্চার শাহ। তার বক্তব্য মমতা ব্যনার্জী নির্বাচনী স্বার্থেই নাকি সেখানে সিএএ করতে দিচ্ছে না। সিএএ হলে মতুয়া গোষ্ঠী নাগরিকত্ব লাভ করত। অমিত শাহ বলেন,” সিএএ দেশে কার্যকর হওয়া উচিত কি না, বলুন। বহু মানুষ আজও নাগরিকত্ব পাননি। কেন্দ্রীয় সরকার তা দিতে চাইছে। কিন্তু ভোট রাজনীতির জন্য তাতে বাধা দিচ্ছে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকার। মতুয়াদের নাগরিকত্বের বিরোধিতা করছে। কিন্তু আমরা সকলকে নাগরিকত্ব দেব। আমি বলতে চাই, এত বছরে বাংলাকে বরবাদ করেছেন। কাটমানি আটকানো উচিত কি না, আপনারা বলুন? অনুপ্রবেশ, বিস্ফোরক, সন্দেশখালির মতো ঘটনা কি আটকানো উচিত কি না।”
রাণাঘাটে বিজেপির ভোটে জেতার জন্য নির্বাচনের আগে মতুয়া গোষ্ঠীকে বিশেষ করে টার্গেট করে সিএএ এ নিয়ে প্রচার কতটা লাভজনক হবে সেটাই দেখার ।