বর্ধমান–দুর্গাপুরের প্রার্থী দিলীপ ঘোষ বৃহস্পতিবার সকালে বর্ধমানের বড়নীলপুর মোড় থেকে বটতলা প্রাতঃভ্রমণে যান তিনি। সেখানেই জনসংযোগ সারার সময় বর্ধমান থানার আইসিকে অশ্লীল ভাষায় আক্রমণ করেন তিনি। আবার মস্তান অবতারে অবতীর্ণ হয়ে দিলীপ বলেন,” আইসি কত বড় চামচা হয়েছে আমি ওকে দেখছি। কি করে সারাজীবন চাকরি করে। আইসিকে রাস্তার আটকাবো। লোক দিয়ে ওর গাড়ি আটকাবো। ওকে বের করে ওর কাপড় খুলবো। দিলীপ ঘোষকে ও চেনে না এখনও। বাপের জন্মে দেখেনি তো। ভেবেছে বালি চোর, গরু চোরগুলির মতো নেতা।
এখানেই থেমে থাকেননি দিলীপ ঘোষ। তিনি আরও বলেন, ” আমি তো রোজ এসব ছেড়ে দিয়ে থানা, বিডিও, ডিএম অফিস ঘেরাও করব। আর কিছু করব না। শেষের দিকে ওর দম বন্ধ করে দেব। কেমন করে চামচাগিরি করে দেখব। রাস্তায় যেন না বেরোয় আইসি। রাস্তায় বেরলে দাঁড় করিয়ে আইসির প্যান্ট খুলে নেব। পারলে আমার বিরুদ্ধে গিয়ে কমপ্লেন করুক ইলেকশন কমিশনের কাছে। তারপরে আইসি ভাবছে দিলীপ ঘোষ চলে যাবে। দিলীপ ঘোষ ৫ বছর থাকবে। রাস্তায় জুতোপেটা করব। আর করেছি, মুখে বলি না। ওরা ভেবেছে আমি ভদ্র আছি বলে ওরা যা ইচ্ছা করে নেবে।”
নির্বাচনে ইলেকশন কমিশন কে নিষ্ক্রিয় বলে দাবি করছে বহু বিরোধী দলের নেতারা। মোদি-যোগির মুসলিম বিরোধী সাম্প্রদায়িক বক্তব্যেও নির্বাচন কমিশন কোনোরূপ পদক্ষেপ নেয়নি। তাই বোধহয় দিলীপের এতটাই আত্মদম্ভ এবং আত্মবিশ্বাস যেন কেউই তার কিছুই করে উঠতে পারবে না। তাই দিলীপ অনায়াসে একের পর এক লোকসভা প্রার্থী হয়ে স্থানীয় সমাজবিরোধীর ন্যায় অশ্লীল অসাংবিধানিক কথা বলে যেতে পারে। সব সীমা ছাড়িয়ে দিলীপ বলেন, ‘ওর বাপের জমিদারি পেয়েছে নাকি। জুতিয়ে মুখ লম্বা করে দেবো। দেখাবো কতো দম আছে। ওর রাস্তায় বেরানো যদি বন্ধ না করে দিয়েছি। সবেতো শুরু করেছি কাজ। কালকে ট্রেলার হয়েছে। দেখুন না পুলিশকে থানা থেকে বেরাতে দেবো না। আমার প্রচার হয়ে গিয়েছে আর দরকার নেই।’