রাজ্যের প্রথম দ্বিতীয় সফার তুলনায় তৃতীয় দফার ভোটদানের হার বাড়লেও আগের বারের বিধানসভা লোকসভা ভোটদানার তুলনায় এবারের ভোটদান কম। এর কারণ খুটিয়ে দেখছে কমিশন। তাদের মতে ছাপ্পা ভোট বা ভুয়ো ভোট এর সংখ্যা কমেছে বলেই নাকি ভোটদান এর হার কমেছে।
ভোটদানের হার হ্রাস পাওয়া এক অর্থে পরোক্ষভাবে কমিশনের ব্যর্থতাই বটে। কিন্তু তাদের এই ব্যর্থতা মানতে নারাজ নির্বাচন কমিশন। তারা বরং বিপরীত কথা বলে জানিয়েছে যে ছাপ্পা ভোটের সংখ্যা একেবারে নির্মূল করা গেছে বলেই এই পরিসংখ্য্যান এইরূপ এসেছে। নির্বাচন নাকি প্রথম থেকেই ভুয়ো ভোটার দের ভোটার লিস্ট থেকে বাদ দেওয়ার ব্যপারে ভীষণ ভাবে সতর্ক ছিল। তার সরাসরি প্রতিফলন এই পরিসংখ্যানে পড়েছে। তাই একার্থে এটি নির্বাচন কমিশনের সাফল্য, এমনটাই দাবি কমিশনের।
এছাড়াও ভোটের হার কমার কিছু কারণ ও দর্শিয়েছে কমিশন। তাদের মতে (১) ভুয়ো ভোটারদের নাম বাদ পড়া। বিরোধীদের অভিযোগের পর ভোটার তালিকা থেকে বহু ভুয়ো ভোটারের নাম আগেই সরিয়ে ফেলা।
(২) পরিযায়ী শ্রমিকদের সবার না আসা। কমিশন মনে করছে, ২০২৩ পঞ্চায়েত ভোটের হিংসা দেখে অনেক পরিযায়ী শ্রমিকই এবার ভোট দিতে আসেননি। (৩) ছাপ্পা ভোট না পড়া। কমিশন মনে করছে সুষ্ঠু ও অবাধ ভোট হওয়ায় প্রতিবার যে বাড়তি ভোটটা ছাপ্পা হিসাবে পড়ে। সেটাকে প্রতিরোধ করা হয়েছে বলে কমিশনের দাবী ।
পরিসংখ্যান অনুযায়ী তৃতীয় পর্বে রাজ্যের ভোটের গড় হার ৭৭.৫৩ শতাংশ। এটি ২০১৯ এর লোকসভা ভোটের তুলনায় ৪ শতাংশ কম।
তবে পরিসংখ্যান বলছে ভোটদানের শতাংশ কমায় সব থেকে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয় ক্ষমতাসীন দল, তবে লোকসভা ভোটে পশ্চিমবঙ্গের ক্ষেত্রে এই পরিসংখ্যান দিয়ে বিচার করা বেশ জটিল , কেননা এখানে রাজ্য ও কেন্দ্রে দুটি পৃথক দল তাই এই পরিসংখ্যানে কারা বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হবে তা এক্ষুনি বলা সম্ভব নয় । আর সে কারনেই এই ভোটদানের হার কমে যাওয়ায় তৃণমূল বিজেপি উভয় দলের কাছে বেশ মাথাব্যথার কারণ ।