12 মে, আজ ভোটকর্মীরা আসানসোল লোকসভার অন্তর্গত জামুড়িয়ায় বুথে প্রবেশের পথে পান বাধা। 13 মে আসানসোল লোকসভা কেন্দ্রে নির্বাচন, তার আগের দিনই জামুরিয়া র বুথে তালা ঝুলিয়ে দেন সেখানকার অধিবাসীরা। ভোটেকর্মীদের ঘিরে বিক্ষোভ ও দেখান তারা। পরবর্তীতে কেন্দ্রীয় বাহিনীর হস্তক্ষেপে পরিস্থতি স্বাভাবিক হয়।
সেই অঞ্চলে বিদ্যুৎ সরবরাহ উপস্থিত, তবে পর্যাপ্ত নয়। দিনের অধিকাংশ সময়েই লো ভোল্টেজ এর কারণে এই গরমে ঘরের ভিতর ঘেমে নেয়ে দিন কাটাতে হচ্ছে সেখানকার অধিবাসীদের। নিত্য এই অসুবিধে থেকে রেহাই এর জন্যে তারা বারবার অভিযোগ জানিয়েছে বিভিন্ন দপ্তরে, ও এলাকার বিভিন্ন ভারপ্রাপ্ত ব্যক্তিদের কাছে। কিন্তু সমস্যার সুরাহা হয়নি একফোঁটাও। সবাই শুধু শুকনো ও ভুয়ো আশ্বাসবাণী দিয়েই ক্ষান্ত। এই সমস্যার নিষ্পত্তি এখনও হয়নি।
এমতাবস্থায় নির্বাচন হবে 13 মে, সেখানে আসা ভোটাকর্মীদের জন্যে রাখা হয়েছে পর্যাপ্ত জেনারেটর এর ব্যবস্থাও। স্থানীয়রা সেই খবর পেয়েই রবিবার সকালে আসানসোল লোকসভা কেন্দ্রের ২৭৯ জামুড়িয়া বিধানসভার তপসির জানবাজার গ্রামের ২৪৩ নম্বর বুথের গেট এ তালা ঝুলিয়ে দেন। এবং ভোটেকর্মীরা এলে তাদের সামনে নিজেদের সমস্যার কথা তুলে ধরে এবং বলে যে এই নির্বাচন প্রক্রিয়ায় অংশগ্রহণকারী ভোটকর্মীরাও যেনো এই গরমে চরম অব্যবস্থা ও লো ভোল্টেজ এর জন্যে যাবতীয় হেনস্থা প্রত্যক্ষ ও উপলদ্ধি করে ভোটগ্রহণ করেন 13 মে সারাটা দিন।
জানবাজার দাসপাড়ার এক বাসিন্দা বলেন, ‘‘আমরা চাই, আমরা যেমন রোজ অন্ধকারে গরমে কষ্ট পাই, এক দিন ভোটকর্মীরাও সেই পরিস্থিতির মধ্যে থেকে ভোট করান। সেই কারণেই আমরা জেনারেটর নামাতে দিইনি। আমরা ভোট বয়কটের ডাক দিইনি। সবাই মিলে ভোট দেব। কিন্তু ভোটকর্মীদের জেনারেটরহীন অবস্থায় কাজ করিয়ে প্রশাসনকে বুঝিয়ে দিতে চাই, ঠিক কোন অবস্থার মধ্যে আমাদের বেঁচে থাকতে হয়।’’
এই ঘটনায় তৈরি হয় বুথের সামনে প্রবল উত্তেজনা এবং অবস্থা সামলাতে তৎপর পুলিশ ও কেন্দ্রীয় বাহিনী হাজির হয় এবং অবস্থা সামাল দেয়। যদিও স্থানীয় দের সমস্যার এখনও কোনো সমাধান সূত্র বাতলে দেয়নি কেউই। তাও,পশ্চিম বর্ধমানের জেলাশাসক এস পোন্নমবলমের আশ্বাস দিয়েছেন তিনি বিষয়টি খবর নিয়ে দেখবেন।