নির্বাচনী প্রচারের জন্যেই অন্তবর্তীকালীন জামিন পেয়েছে দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়াল। ২রা জুন আবার ফিরতে হবে তাকে তিহার জেলে। কিন্তু তার আগেই গুরুতর কোনো অসুখের আশঙ্কায় অন্তবর্তী জামিন এর আর্জি নিয়ে সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী।
আম আদমি পার্টি জানিয়েছে যে, কোনো এক গুরুতর অসুখে ভুগছেন তাদের দলের নেতা। একাধিক উপসর্গ ও দেখা দিয়েছে তার দেহে। সত্ত্বর চিকিৎসার প্রয়োজন। প্রয়োজনীয় চিকিৎসা না হলে এই অসুখ বিস্তার লাভ করতে পারে অনেক দূর পর্যন্ত। ফলে অন্তর্বর্তী জামিনের মেয়াদ আরও সাতদিন বাড়িয়ে দেওয়ার আর্জি জানিয়ে তাঁর পক্ষ থেকে দেশের শীর্ষ আদালতে একটি আবেদন করা হয়েছে।
কিন্তু হঠাৎ সাতদিন ই কেন? আম আদমি পার্টি সূত্রে খবর, PET-CT স্ক্যান করানোর প্রয়োজন রয়েছে অরবিন্দ কেজরিওয়ালের। চিকিৎসকের পরামর্শ মত সমস্ত নিয়মকানুন মেনে এই পরীক্ষা সম্পন্ন করতে নূনতম ৭ দিন এর প্রয়োজন। সুপ্রিম কোর্টের আবেদনে উল্লেখ করা আছে গ্রেফতার হওয়ার পর থেকে সাত কেজি ওজন কমে গিয়েছে আপ প্রধানের। তাঁর শরীরের কিটোন লেভেলও বৃদ্ধি পেয়েছে। কোনও গুরুতর অসুখে তিনি ভুগছেন বলেও আবেদনে জানানো হয়েছে।
ভবিষ্যতে জেলে বসেই দিল্লির সরকার চালাবেন বলে ঠাওর করেছেন অরবিন্দ কেজরিওয়াল। তার মতে ইচ্ছা করে দিল্লির সরকার ফেলে দিল্লিতে নিজেদের সম্পূর্ণ অধিকার কায়েম করতেই বিজেপি নিজেদের ক্ষমতার অসাংবিধানিক ব্যবহার করে নোংরা রাজনীতির খেলায় নেমেছে। তিনি দাবি করেন, ‘মোদী ক্ষমতায় এলে ভারত আবারও স্বৈরতন্ত্রের দিকে এদিয়ে যাবে। কত দিন আমাকে জেলে বন্দি রাখা হবে জানেন শুধু প্রধানমন্ত্রী মোদী। আমি পদত্যাগ করলে দিল্লির সরকার ফেলে দেওয়া হবে। যদি প্রধানমন্ত্রী মেনেই নেন, আবগারি দুর্নীতি বলে কিছুই হয়নি, তা হলে এই দুর্নীতির দায়ে জেলে থাকা ব্যক্তিদের কেন অব্যাহতি দেওয়া হচ্ছে না?’
প্রসঙ্গত উল্লেখ্য দিল্লি আবগারি দুর্নীতি মামলায় ED-র হাতে গ্রেফতার হন অরবিন্দ কেজরিওয়াল। যদিও ইডি তার বিপক্ষে আদালতে উপযুক্ত প্রমাণ পেশ করতে পারেনি। তাছাড়া ও তিহার জেলে তাকে উপযুক্ত ইনিসুলিন দেওয়া হয়নি বলেও দাবি কেজরির। তিনি সাধারণ অবস্থায় ৫০ ইউনিট করে প্রতিদিন ইনিসুলিন নিতেন। তিহাড়ে তাঁর গ্লুকোজ মিটার রিডিং ২৫০ থেকে ৩২০-র মধ্যে বিপজ্জনক অবস্থায় পৌঁছে গিয়েছিল। কিন্তু তিহার কর্তৃপক্ষের দাবি ছিল যে তিনি নাকি ইচ্ছা করে আম খেয়ে নিজের সুগার লেভেল বাড়ানোর চেষ্টা করছে। অবশেষে তাকে ইনিসুলিন দেওয়া হয়।