আজ বালুরঘাটে তৃনমূল প্রার্থী বিপ্লব মিত্রের প্রচার সভায় রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় তাঁর ও তৃনমূল যুব নেতা অভিষেক বন্দোপাধ্যায়ের প্রাননাশের আশঙ্কা প্রকাশ করেন । তিনি বলেন , ” এই বোমা-টোমা বলছে , এরা আমার , অভিষেকের জীবন পর্যন্ত নিতে পারে । পুলওয়ামায় যেমন করেছিলো । এই চক্রান্ত ভাঙবই ।”
স্পষ্টতই তাঁর এই আশঙ্কা পিছনে যে বিজেপি রয়েছে তা আর বলবার অপেক্ষা রাখে না । তবে নিজেদের প্রাণসংশয় নিয়ে আশঙ্কা প্রকাশের পাশাপাশি মমতা আর যে বিষয়টি নিয়ে বিজেপিকে খোঁচা দিয়েছেন তা হল পুলওয়ামা হামলার প্রসঙ্গ । তাঁর এদিনের মন্তব্য থেকে তিনি পুলওয়ামা হামলার পিছনে যে চক্রান্ত থাকতে পারে তাঁরও ইঙ্গিত দেন ।
উল্লেখকরা যায় যে , ১৪ ফেব্রুয়ারী, ২০১৯ সালে, ভারতের জম্মু ও কাশ্মীরের পুলোয়ামার কাছে জেহাদি সন্ত্রাসবাদী সংগঠন লস্কর-ই-তৈয়বা একটি আত্মঘাতী বোমা হামলা চালায়। এই হামলায় ৪০ জন ভারতীয় সেনা কর্মী নিহত এবং আরও অনেকে আহত হয়।
গত লোকসভা ভোটের প্রাক্কালে এই ঘটনা মোড় ঘুরিয়ে দেয় গোটা ভারতের রাজনীতির , দেশপ্রেমের জিগির তুলে যার পুরো এডভান্টেজ দখল করে বিজেপি ।
সেই সময় জম্মু ও কাশ্মীরের রাজ্যপাল ছিলেন সত্যপাল মালিক। পরে তিনি বিস্ফোরক অভিযোগ তুলে দাবি করেন, কেন্দ্রীয় সরকার তখন এয়ারক্রাফ্টে সেনা জওয়ানের যাতায়াত করতে দেয়নি। এর পরেই সিবিআই এক মামলায় সত্যপাল মালিককে জেরা করার জন্য সমন পাঠায়। পরে আবারও সত্যপাল মালিক দাবী করেন , নরেন্দ্র মোদী তাঁকে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের গাফিলতি নিয়ে মুখ খুলতে বারণ করেন। তাঁর সেই মন্তব্য গোটা দেশ জুড়ে পুলওয়ামা হামলা নিয়ে যথেষ্ট প্রশ্ন চিহ্নের মুখে ফেলে দেয় ।
লোকসভা নির্বাচনের দ্বিতীয় দফা ভোটের আগে মমতা বন্দোপাধ্যায়ের এই মন্তব্য স্বাভাবিক ভাবেই নতুন করে বিতর্কের জন্ম দিয়েছে ।