২০১১ সালে ৩৪ বছরের বামফ্রন্ট সরকারকে পরাজিত করতে পরিবর্তনের স্লোগানের হিরিক তুলেছিল মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ২০১১ এর ভোটে বামফ্রন্ট সরকারের কোমরভাঙা পরাজয়ের পর তৃণমূল কংগ্রেসের সরকার পশ্চিমবঙ্গের ক্ষমতায় আসে। একইভাবে ২০২৪ এর লোকসভা ভোটে দিল্লির গোদি থেকে বিজেপিকে হটাতেই নতুন স্লোগান ধরলেন তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বিজেপিকে পরাস্ত করতে নতুন স্লোগান, “‘চলুন বদলাই, চলুন পাল্টাই।”
দেশের বিরোধীদের নিয়ে কেন্দ্র থেকে স্বৈরতান্ত্রিক বিজেপিকে পরাস্ত করতেই তৈরি হয়েছে ইন্ডিয়া জোট। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ও সেই জোটের অংশ। সকল জনসভা থেকেই তিনি বলছেন মোদির পরাজয় এই ভোটে নাকি এবার নিশ্চিত। মালদা জেলায় আসা দুটি প্রচারসভা থেকে ও এই কথা বলেছেন মুখ্যমন্ত্রী। প্রসঙ্গত উল্লেখ্য ২০১৯ সালের লোকসভা নির্বাচনে মালদা উত্তর লোকসভা কেন্দ্রে বিজেপি জয়ী হয়। তাই এই কেন্দ্রে নিজেদের জয় সুনিশ্চিত করতেই বিজেপির বিরুদ্ধে ভীষণভাবে চড়াও হলেন তৃণমূল সুপ্রিমো। হরিশচন্দ্রপুরের সভায় মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ‘ওরা দেশকে বিক্রি করে দিয়েছে। সংবিধানকে বিক্রি করেছে। তাই আমাদের নতুন স্লোগান, চলুন এবার পাল্টাই। চলুন এবার বদলাই। দিল্লির সরকার বদলাই।’
পরের এক জনসভা থেকেও মোদির ভুয়ো প্রতিশ্রুতিগুলিকে জনতার সামনে তুলে ধরেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। মুখ্যমন্ত্রী দৈনন্দিন সামগ্রীর আকাশছোয়া দাম এর বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করে ওঠেন। বিপুল পরিমাণ বেকারত্ব এর প্রসঙ্গে মমতা বলেন, ‘জিনিসের দাম এত বেড়েছে, তার জন্য কি মোদীবাবু একটুও মাথা ঘামাচ্ছেন? দু’কোটি বেকারের চাকরি দেবেন বলেছিলেন। একজনকেও চাকরি দেননি। আমরা বরং যাঁদের চাকরি দিচ্ছি, তাঁদের চাকরি খেয়ে নিয়ে বলছে বোমা ফাটাব।’
ওই জনসভা থেকেই মমতা নতুন স্লোগান দিয়ে বলেন, ‘চলুন বদলাই, চলুন পাল্টাই। এভাবেই পরিবর্তনের ডাক দিয়ে যাই। আগামী দিন আসছে, বিজেপি কাঁদছে। দিল্লিতে বদলান, দিল্লিতে পাল্টান, দিল্লিতে পরিবর্তন দরকার।