কন্যাকুমারীর বিবেকানন্দ রকে ধ্যান করবেন প্রধানমন্ত্রী। ৩০ মে সন্ধ্যা থেকে ১ জুন সন্ধ্যাবেলা পর্যন্ত ঐতিহাসিক ওই স্থানে সাধনা করার কথা তাঁর। মঙ্গলবার বিকেলেই জানা গিয়েছিল এমন কথা। আর এবার মোদির সেই পরিকল্পনা নিয়ে আপত্তি জানাল তামিলনাড়ু কংগ্রেস। তাদের অভিযোগ, এতে নির্বাচনী বিধিভঙ্গ হবে। তাই নির্বাচন কমিশনের উচিত এই বিষয়ে অনুমতি না দেওয়া।
৪ জুন ২০২৪ সালের লোকসভা নির্বাচনের ভোটগণনা। তার আগে এবারের শেষ ভোটদান পর্ব ১ জুন। যার প্রচার শেষ হবে ৩০ মে। ফলে প্রচার শেষ হওয়া মাত্রই এবারের মতো মোদিরও ভোটপ্রচার শেষ। আর তার পরই সেদিন সন্ধ্যা থেকে ধ্যানে বসার পরিকল্পনা রয়েছে তাঁর। আর এখানেই আপত্তি তুলেছে তামিলনাডু কংগ্রেস। তাদের মতে ভোটপ্রচার শেষ এর পরেও , মোদির এই ঐতিহাসিক স্থানে ধ্যান করার পরিকল্পনাও একধরনের পরোক্ষ ভোটপ্রচার, বিজেপির হয়ে।
তামিলনাডু রাজ্যের কংগ্রেস সভাপতি কে সেলভাপেরুনথাগাইয়ের দাবি, যেহেতু নির্বাচনী বিধি লাগু রয়েছে, তাই মোদিকে বিবেকানন্দ রকে ধ্যানের অনুমতি যেন না দেয় কমিশন। তাঁর কথায়, ”এটা পরিষ্কার যে, মোদি নির্বাচনের আগে ৪৮ ঘণ্টার নীরব সময়ে এমন ঘটনা ঘটিয়ে মিডিয়ার মাধ্যমে গোপনে প্রচার চালাতে চাইছেন। এই বিষয়ে আমরা একটি চিঠি পাঠাব কমিশনকে। প্রয়োজন হলে মাননীয় আদালতের দ্বারস্থও হব।”
দেশের মূল ভূখণ্ডের একেবারে দক্ষিণতম বিন্দু তামিলনাড়ুর কন্যাকুমারী। এখানে এসেই মিশেছে বঙ্গোপসাগর, ভারত মহাসাগর ও আরব সাগর। যুক্ত হয়েছে ভারতের পূর্ব ও পশ্চিম উপকূল। মূল ভূখণ্ড পেরিয়ে আরও কিছুটা এগোলে তবেই বিবেকানন্দ রক। এখানে রয়েছে কন্যাকুমারীর মন্দির। সমুদ্রের উত্তাল ঢেউ চারদিক থেকে আছড়ে পড়ে এখানে। একদা এখানে ধ্যান করেছিলেন স্বামী বিবেকানন্দ। এবার সেখানেই, ধ্যানমণ্ডপমে ধ্যানে বসার কথা মোদির। যে পরিকল্পনায় বাদ সাধল কংগ্রেস। আঁদেও কংগ্রেসের এই আপত্তি ধোপে টিকবে কিনা তা দেখার বিষয়, যদি বা নির্বাচন কমিশন এইরকম ধ্যান এ বসাকে পরোক্ষ প্রচার মনে করে মোদির ধ্যানে বসার অনুমতি না দেয়, তবে কী মোদি এবং বিজেপি এই প্রচার শেষ এর পরের প্রচার চালাতে অন্য কোনো পরোক্ষ পথ বেছে নেবে, ও এগোবে নাকি সেখানেও বাঁধ দিয়ে দেবে নির্বাচন কমিশন আগেই তাই দেখার বিষয়।