মঙ্গলবার পার্থ চট্যোপাধ্যায় এর জামিনের আবেদন খারিজ করল কলকাতা হাইকোর্ট। হাইকোর্ট জানিয়েছে তদন্ত এখন পর্যন্ত যে পর্যায়ে রয়েছে তাতে এই পরিস্থিতিতে জামিন দেওয়া সম্ভব নয়। জামিনের আবেদন খারিজ হতেই আবার জেলে ফিরে যেতে হল প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রীকে।
২০২২ সালের ২২ জুলাই পার্থ্য চট্যোপাধ্যায় কে নিয়োগ দূর্নীতি মামলায় গ্রেফতার করে ইডি। গ্রেফতারের ১৩ মাস পর হাইকোর্টে জামিনের জন্য আবেদন করেন প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী। ইডি থেকে জামিনের তীব্র বিরোধিতা করা হয়। ইডির উদ্দেশে বিচারপতি তীর্থঙ্কর ঘোষ প্রশ্ন করেন, ‘পার্থকে কি আর হেফাজতে রেখে জিজ্ঞাসাবাদের প্রয়োজন রয়েছে? নিয়োগ দুর্নীতির তদন্ত এখন আর প্রাথমিক পর্যায়ে নেই। যদি ধরে নেওয়া যায় যে, ২০২২ সালের শেষে ইডির মামলাগুলি দায়ের হয়েছিল, তা হলেও দেড় বছরের বেশি হয়ে গিয়েছে। এখন ইডির অবস্থান স্পষ্ট হওয়া দরকার।’ইডির উদ্দেশে বিচারপতি তীর্থঙ্কর ঘোষ প্রশ্ন করেন, ‘পার্থকে কি আর হেফাজতে রেখে জিজ্ঞাসাবাদের প্রয়োজন রয়েছে? নিয়োগ দুর্নীতির তদন্ত এখন আর প্রাথমিক পর্যায়ে নেই। যদি ধরে নেওয়া যায় যে, ২০২২ সালের শেষে ইডির মামলাগুলি দায়ের হয়েছিল, তা হলেও দেড় বছরের বেশি হয়ে গিয়েছে। এখন ইডির অবস্থান স্পষ্ট হওয়া দরকার।’
প্রথম ২০২৩ সালের ৬ সেপ্টেম্বর জামিনের মামলার প্রথম শুনানি হয় কলকাতা হাইকোর্টে। ইডির অনুরোধে সেই শুনানির দিন পিছিয়ে দেন কলকাতা হাইকোর্ট। প্রথম থেকেই পার্থ চট্যোপাধ্যায় নিজেকে নির্দোষ বলে দাবি করে এসেছে। তার মতে অর্পিতা মুখোপাধ্যায় এর বাড়ি থেকে যে বিপুল সম্পত্তির হদিশ পাওয়া গেছে তার সঙ্গে তার নাম জড়িয়ে তাকে ইচ্ছে করে ফাঁসানো হচ্ছে।
গতকাল হাইকোর্টে জামিন শুনানি মামলায় জেল থেকে ছাড়া পেলেন না পার্থ্য চট্যোপাধ্যায়। কলকাতা হাইকোর্টের পর্যবেক্ষণ, ‘তদন্ত এখন যে পরিস্থিতিতে রয়েছে তাতে জামিন মঞ্জুর করা সম্ভব নয়।’ এই রায় তে বেজায় দুঃখিত প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী। তাকে আবার ফিরে যেতে হবে প্রেসিডেন্সি জেলে। এর আগেও ইডি ও সিবিয়াই এর মামলার থেকে একাধিক বার জামিনের জন্য আবেদন জানিয়েছিলেন পার্থ্য, কিন্তু প্রতিবারই তা খারিজ হয়ে যায়।