পূর্ত ভবন থেকে বৃহস্পতিবার পুলিশ হাতে পেল রাজভবনের সিসিটিভি। সেই সিসিটিভি ফুটেজ অনেকটাই মিলে গেল অভিযোগকারিণীর বয়ানের সাথে। দেখা পড়ল অনেক অনেক নতুন লোকের। কে সেই লোক?? তাদের স্ক্রিনশট তুলে পাঠানো হল লালবাজারে।
প্রথম থেকেই রাজ্যপাল ও রাজভবন কেউই পুলিশের তদন্তে সহোযোগিতা করেননি। রাজভবন থেকে তাদের কর্মীদের নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল যাতে রাজভবনের বাইরে বা পুলিশের কাছে কোনো মুখ তা না খোলে। রাজভবনের থেকে এক্স হ্যান্ডেলে জানানো হয় পুলিশ ও মমতা ব্যনার্জী ছাড়া ইচ্ছুক প্রথম ১০০ জনকে সিসিটিভি ফুটেজ দেখানো হবে। সেই কথা মতই আগত নাগরিক দের রাজভবনের বাইরের ১ ঘন্টা উনিশ মিনিটের দুটো ফুটেজ দেখানো হয়। রাজভবনের বাইরের এই ফুটেজে মহিলা ছাড়া আরও অনেক লোককে দেখা যায়। তাদের স্ক্রিনশট নিয়ে পাঠানো হয় লালবাজারে।
অভিযোগকারীর মতে ২৪ শে এপ্রিল তিনি প্রথম হেনস্থার শিকার হন। তারপর ২ রা মে। ওই ঘটনার পর তিনি নীচের তলায় সচিবের ঘরে যান। সেখানেই ছিলেন ওই চিকিৎসক। হাতে আসা সিসিটিভি ফুটেজেও সচিবের ঘরে যেতে দেখা গিয়েছে মহিলাকে। মহিলার বয়ানের সাথে সিসিটিভির ঘটনা ও মিলে যাচ্ছে। মিলে যাচ্ছে সময় এর হিসেব। তবে এখনো পর্যন্ত এমন কোনো প্রমাণ পাওয়া যায়নি যার ভিত্তিতে বলা যায় যে মহিলা প্ররোচিত ভাবে রাজ্যপালকে ফাঁসানোর চেষ্টা করছে । আবার এমন কোনো তথ্য ও মেলেনি যার ভিত্তিতে বলা যায় যে রাজ্যপাল সম্পুর্ণ নির্দোষ। কারণ জানা গেছে রাজভবনে মোট ৪০ টা সিসিটিভির মধ্যে নীচের তলাতেই সবকটি। উপরে যেখানে রাজ্যপাল থাকেন সেখানে কোনো সিসিটিভি নেই। কনফারেন্স রুমেও সিসিটিভি ফুটেজ এখনো পাওয়া যায়নি।
ফৌজদারি মামলায় সকলের মত যেহেতু রাজ্যপালের ক্ষেত্রে তদন্ত করা সম্ভব নয় তাই পুলিশ ঘুরিয়ে বলেছে যে তারা শুধু অভিযোগের অনুসন্ধান করছে। মহিলার বয়ানের সাথে ফুটেজের ঘটনা মিলে যাওয়ার পর পুলিশ কীভাবে এই বিশেষ কেস কে সামলাবে এবং সত্যিই যদি মহিলা ভুক্তভোগী হন আদৌ কি তিনি ন্যয়বিচার পাবেন সেটাই দেখার ।