নির্বাচনী-প্রচার সভা থেকে নন্দীগ্রামের শহিদ দের অপমান করেছেন নাকি শুভেন্দু অধিকারী। অবিলম্বে ক্ষমা চাইতে হবে … এমন দাবি জানিয়েই নিজেদের X হ্যান্ডেলে পোস্ট করেছে তৃণমূল।
রাজ্য-রাজনীতিতে নন্দীগ্রাম জায়গাটির এক বিশেষ মাহাত্ব আছে। ২০০৭ সালের কেমিকাল হাব তৈরির বিরুদ্ধে আন্দোলন, সেই আন্দোলনে তৃণমূল কংগ্রেস ও সুশীল সমাজের যোগদান, বহুসংখ্যক মানুষের মৃত্যু।২০০৭ সালে ১৪ জন সাধারণ মানুষের প্রাণ নেয় পুলিশ। এই সকল ঘটনাকে কেন্দ্র করে হয়েছে তীব্র রাজনীতি। নেমে এসেছে অভিযোগ-পাল্টা অভিযোগের জোয়ার। ২০১১ সালে বাংলায় তৃণমূলের ক্ষমতায়নের পেছনে নন্দীগ্রাম কাণ্ডের গুরুত্ব ছিল যথেষ্ট। তারওপর সদ্য বিধানসভা ভোটে মমতা ব্যানার্জীকে এই নন্দীগ্রাম থেকেই পরাজিত করে শুভেন্দু অধিকারী। বিজেপির কাছে এই জয় রাজনৈতিক ভাবে ছিল অত্যন্ত লাভজনক।
.@SuvenduWB, here is a reminder to choose your words carefully!
— All India Trinamool Congress (@AITCofficial) April 28, 2024
41 brave souls were MARTYRED in the Nandigram movement—they didn’t just "die."
You didn't lift a finger for the cause, so don't you dare disrespect its legacy! pic.twitter.com/8NtW39RbJw
এবার ২৪ এর লোকসভা ভোটের ঠিক আগেই শুভেন্দু অধিকারী নির্বাচনী প্রচারসভা থেকে বলেন, ” “নন্দীগ্রামের ৪১ জন মরেছে। ৩০০ মা ইজ্জত দিয়েছে। ১২০০ জন গুলিবিদ্ধ হয়েছে।” শহিদদেরকে ‘মরেছে’ বলে সম্বোধন করাতে নাকি শহিদদের অপমান করা হয়েছে এমনটাই দাবি করেছে তৃণমূল কংগ্রেস। নিজের X হ্যান্ডেল থেকে সেই ভিডিও শেয়ার করে শুভেন্দুকে সত্বর ক্ষমা চাওয়ার উপদেশ দিল তৃণমূল। বিজেপি শালীনতা ও শিষ্টাচার এর সমস্ত সীমা অতিক্রম করে যাচ্ছে এমনটাই দাবি করে তৃণমূল।
লোকসভা ভোটের আগে শুভেন্দু অধিকারীর এরূপ বক্তব্যে রাজনৈতিক বচসা তোইরি হলেও গেরুয়া শিবির থেকে তৃণমূলের এই টুইটের কোনো জবাব ই আসেনি। এই ধরনের বক্তব্য শুভেন্দু অধিকারীর জন্য ফাপড়ে ফেলবে? তার উত্তর লোকসভা ভোটের ফলাফলই হয়তো বা বলএ পারবে।