টুইটার থেকে ব্যাপক হারে শেয়ার হচ্ছে প্রিয়াঙ্কা গান্ধির বিলাসবহুল এক বাংলোর ছবি। অনেক ট্যুইটার ব্যবহারকারী সেই ছবি পোস্ট করে সেই বাংলোটিকে বে-আইনি বলে ঘোষণা করছে। অনেকেই বলেছে কংগ্রেসের “সম্পদের পুনর্বন্টন” নীতির আওতায় যাতে এই বিলাসবহুল বাংলোটিও আসে। কিন্তু আদেও কতটা সত্যিই এই পোস্ট? তা অনুসন্ধান করেছে নিউসচেকার।
আসল ঘটনাটি কি ?
ছবিটি আসলে ২০২০ সালের ১৪ ই সেপ্টেম্বর পোস্ট করা। সেই ছবি এই লোকসভা ভোটের প্রাককালে এত বহুল পরিমাণে শেয়ার করা হচ্ছে। বাংলোটি প্রিয়াঙ্কা গান্ধির বটে। তবে এটি কোনো বে-আইনি নির্মাণ নয়। যদিও এত তাড়াতাড়ি কীভাবে প্রিয়াঙ্কা গান্ধী ওই জায়গায় বাংলো নির্মাণের অনুমতি পেয়েছিল তা নিয়ে বিতর্ক রয়েছে। তার কারণ হিমাচল প্রদেশে বহিরাগত কিংবা কৃষিকাজের সঙ্গে জড়িত নয় এমন কেউ জমি কিনতে পারেন না। কিন্তু ২০০৭ সালের প্রতিবেদন অনুযায়ী বাংলো টি আইনত ভাবে প্রিয়াঙ্কা গান্ধির এটি সর্বজনবীদিত। ২০০৭ সালের সেই প্রতিবেদনে দেখানো হয় হিমাচল প্রদেশের টিন্যান্সি অ্যান্ড ল্যান্ড রিফর্মস অ্যাক্ট ১৯৭২-এর ১১৮ নম্বর ধারা অনুযায়ী, বহিরাগতরাও এখানে জমি কিনতে পারেন। সরকার তাঁকে এই আইনের আওতাতেই জমি বিক্রয় করেছে। আশ্চর্যের কথা হল সিমলা থেকে ১৩ কিলোমিটার দূরে ছাবড়ায় যে চার বিঘা জমির উপর বিলাসবহুল বাংলো টি নির্মিত হয়েছে তা বিজেপি সরকারের আওতায় কেনার অনুমতি পেয়েছিলেন প্রিয়াঙ্কা। ২০০৭ সালের প্রতিবেদন অনুযায়ী আইনজীবী প্রশান্ত ভূষণের মতো ৮৮১ জনকে হিমাচলে জমি কেনার অনুমতি দেওয়া হয়েছে।
সিদ্ধান্তঃ
নিউসচেকারের, অনুসন্ধান অনুযায়ী এই তথ্য টি আংশিক ভাবে সত্য। বাংলোটি প্রিয়াঙ্কা গান্ধির হলেও সেটি বে-আইনি নয়। কিন্তু অনেকেই কংগ্রেসের “সম্পদের পূনর্বন্টনের নীতি” এর কথা এ প্রসঙ্গে বলছেন। প্রসঙ্গত কংগ্রেসের ম্যানিফেস্টে এই “পুনর্বন্টন” শব্দের কোনোরূপ উল্লেখ নেই।
This huge bungalow in Shimla belongs to Priyanka Vadra.
— Neel Patel (@NeelPatel_1) April 25, 2024
Although no outsider is allowed to build a home in this valley, the rules have always been different for the royal family…
Anyway, I want this bungalow under wealth redistribution plan. Hope @priyankagandhi won't mind.… pic.twitter.com/SUMxlgR4OL