আজ মালদায় খগেন মুর্মু এবং শ্রীরূপা মিত্রর হয়ে প্রচার করতে এসে জনসভাএ ভাষণ দেন মোদী। সেখানে তিনি সরব হন বাংলায় চলা ব্যপক দূর্নীতি নিয়ে। নিয়োগ দূর্নীতি থেকে তৃণমূল নেতা দের কাটমানি খাবার প্রবণতা কোনোটাই বাদ পড়েনি মোদির ভাষণ থেকে।
সম্প্রতি এসএসসি নিয়োগ দুর্নীতি মামলার রায় দিয়ে প্রায় ২৫ হাজার ৭৫৩ সরকারি শিক্ষ এবং কর্মীর চাকরি বাতিল করেছে কলকাতা হাই কোর্টের ডিভিশন বেঞ্চ। এই নিয়ে তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় চাকরিহারাদের পাশে থাকার বার্তা দিয়েছেন। আবার এই পরিস্থিতির জন্য তৃণমূল কে সম্পূর্ণ দায়ী করেছেন বঙ্গবিজেপি। আজ প্রধানমন্ত্রীর ভাষনেও ধরা পড়ল একই রকম সুর। তিনি বলেন, ‘২৬ হাজার পরিবারের সুখ কেড়ে নিয়েছে তৃণমূলের দুর্নীতি।’এখানেই থেমে থাকেনি প্রধানমন্ত্রী মোদি। প্রায় সবকটি সভা থেকেই কেন্দ্রের বিরুদ্ধে অভিযোগ করে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় যে কেন্দ্রীয় সরকার রাজ্যের প্রাপ্তি অর্থ থেকে রাজ্য কে বঞ্চিত করছে। কিন্তু প্রধানমন্ত্রীর কথায় আজ অন্য সুর। তিনি পালটা অভিযোগ এনে বললেন যে রাজ্য সরকারই নাকি সমস্ত কেন্দ্রীয় প্রকল্প ভেস্তে দেওয়ার পরিকল্পনা করছে। নরেন্দ্র মোদি বলেন,” ‘বাংলার যুব সমাজকে ধ্বংস করে দিচ্ছে তৃণমূল কংগ্রেস। শিক্ষা ক্ষেত্রে এমন দুর্নীতি করেছে যে এই রাজ্যের ২৬ হাজার পরিবারের সুখ ছিনিয়ে নিয়েছে তৃণমূল কংগ্রেস। তাদের রুটিরুজির সংস্থার চলে গিয়েছে। ছে। যুব সমাজের উন্নতির সমস্ত পথ বন্ধ করে দিয়েছে তৃণমূল।’ এদিকে শুধু শিক্ষা ক্ষেত্রে নয়, কেন্দ্রের পাঠানো টাকা নিয়েও তৃণমূল সরকার দুর্নীতি করে বলে অভিযোগ করেন মোদী। তাঁর কথায়, ‘বাংলায় ৫০ লাখেরও বেশি কৃষকদের জন্য আট হাজার কোটি টাকা দিয়েছে কেন্দ্রীয় সরকার। কিন্তু এই রাজ্যের তৃণমূল সরকার সেই টাকা কৃষকদের হাতে পৌঁছতে দিচ্ছে না। তৃণমূলের নেতারা প্রকল্পের টাকা নিয়ে নিচ্ছে। কেন্দ্রের সমস্ত প্রকল্প ভেস্তে দেওয়ার চেষ্টা করছে তৃণমূল। আয়ুষ্মান প্রকল্পকেও আটকে রেখেছে। মালদার আমচাষিদের জন্য অনেক পরিকল্পনা করা হচ্ছে। কিন্তু তৃণমূল সেখানেও কাটমানি চাইবে।’
তৃণমূলের কাটমানি খাবার ইতিহাস কোনো নতুন নয়। চাল থেকে বালি থেকে কয়লা সব কিছু চুরি করার অভিযোগ উঠেছে তৃণমূলের ওপর। যদিও চাকরিহারা দের পাশে থেকে হাই কোর্টের রায় কে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হন তৃণমূল। এখন সুপ্রিম কোর্টের রায় দ্বারাই নির্ধারিত হবে যোগ্য ও অযোগ্য চাকরিপ্রার্থী দের ভবিষ্যৎ।