সন্দদেশখালি কান্ডে সিবি-আই তদন্তের বিরোধিতা করে সুপ্রিম কোর্টে গিয়েছিল রাজ্য। কিন্তু নির্বাচনের আবহে মামলার শুনানিতে সুপ্রিম কোর্টের সিদ্ধান্ত একেবারেই সুখকর হল না রাজ্যের জন্য। রাজ্যের দায় করা মামলার স্থগিত রেখে নির্বাচন ফলাফল প্রকাশের পর জুলাই মাসে মামলার পরবর্তী শুনানি হবে বলে জানিয়ে দিল শীর্ষ আদালত।
দু দিন আগেই সাহজাহান ঘনিষ্ঠের বাড়ি থেকে অস্ত্রভান্ডারের হদিশ পেয়ে সন্দেশখালিতে ল্যান্ড করেন NSG কম্যান্ডো। খুজে পাওয়া যায় বেশ কিছু দেশি-বিদেশি বন্দুক ও বুলেটের। CBI এর তত্ত্বাবধানেই এখন সন্দেশখালিতে গোটা তদন্ত পরিচালিত হচ্ছে। কিন্তু সিবিয়াই এর কর্মকান্ডে একদম খুশি নন রাজ্যের শাসক শিবির। অমতা বন্দ্যোপাধ্যায় অস্ত্রের খোজ পাওয়া প্রসঙ্গে বলে তারা রাজ্য পুলিশ কে কোনোরূপ বার্তা দেওয়ার প্রয়োজন বোধ করেনি। ফাঁসানোর জন্য বা তাদের দলের বদনাম করার জন্য ইচ্ছা করে অস্ত্র কেন্দ্রীয় বাহিনী রেখে দিতে পারে… এমনটাই জানালেন মমতা। এরূপ কোনো প্রমাণ নেই যে সেই অস্ত্র সাহজাহান ঘনিষ্ঠের বাড়ি থেকেই উদ্ধার হয়েছে। সন্দেশখালিতে সিবিআই তদন্তের বিরোধিতা করে সুপ্রিম কোর্টে গিয়েছিলেন রাজ্য সরকার। তবে ভোটের মাঝে সুপ্রিম কোর্টে গিয়ে কোনো লাভ হল না শাসক শিবিরের।আজ মামলার শুনানিতে রাজ্যের পক্ষের উকিল অভিষেক মনু সিঙ্ঘভি সুপ্রিম কোর্টে দাবি করে যে এই আমলা সংক্রান্ত কিছু গুরুত্বপূর্ণ নথি তাদের হাতে এসেছে । তা পেশ করার জন্য ২-৩ সপ্তাহ সময় চেয়েছিলেন তিনি। তাই বিচারপতি বিআর গাভাই এবং বিচারপতি সন্দীপ মেহতার ডিভিশন মামলার শুনানি প্রায় ২ মাস পিছিয়ে দেয়। তবে এই সময়কাল অবধি সিবিআই তদন্তে কোনোরকম স্থগিতাদেশ দেয়নি সুপ্রিম কোর্ট। দুই বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চ এ কথাও বলেন যে সুপ্রিম কোর্টে বিচার হচ্ছে বলে হাইকোর্টে চলতে থাকা মামলাও বন্ধ হয়ে যাবে না ।
সন্দেশখালি কান্ডের শেখ সাহজাহানের বিরুদ্ধে রয়েছে একাধিক নারী নির্যাতনের মামলা। আর বিরুদ্ধে অভিযোগ যে সে সাধারণ মানুষের উর্বরা জমিতে ইচ্ছা করে নোনা জল ঢুকিয়ে সেই জমিকে অনুর্বর করে দিয়েছে এবং সেই জমিতে বানিয়েছে ভেরি। সেই ভেরির মাছ গুলোকে নামমাত্র দামে তারা কিনে নিয়ে যেত মানুষের কাছে থেকে। কেউ প্রতিবাদ করলে তার কপালে জুটত অকথ্য অত্যাচার। যেহেতু এই কান্ডের সাথে জড়িয়ে আছে নারী নির্যাতন থেকে শুরু করে জমি জবরদখলের মামলা। তাই এই তদন্তে স্থগিতাদেশ দেওয়া একেবারেই ঠিক হবে না বলে মনে করেছেন শীর্ষ আদালত। তাই এই ২ মাস এর অন্তবর্তী সময় সিবিয়াই তদন্ত অব্যহত থাকছে না ।