১৫ বছরের একটি মেয়ের গনধর্ষন এর সন্দেহে গ্রেপ্তার করা হল তিন জনকে, যার মধ্যে রয়েছে একজন মহিলাও। কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে যে গত ৯ই মে বৃহস্পতিবার সন্ধ্যে থেকে মেয়েটি বাড়ি থেকে মিসিং ছিল। গত ১০ই মে শুক্রবার একটি ট্রাক্টর ট্রলি র নীচ থেকে হাত পা বাধা অবস্থায় উদ্ধার করা হয় মেয়েটিকে।
সার্কেল অফিসার গৌরভ সিং জানিয়েছেন যে পরিবারের অভিযোগ বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় এক মহিলা নাবালিকাকে ফোন এ এক পুরুষের সাথে কথা বলিয়ে যিনি তাদেরি অঞ্চলের বাসিন্দা, একটি নির্দিষ্ট স্থানে নিয়ে যায়। তারপর, সেই স্থানে আগে থেকেই উপস্থিত থাকা আরও কিছু পুরুষ মিলে ধর্ষণ করে নাবালিকার।
এই মর্মান্তিক ঘটনার পর, দুজনে মিলে নাবালিকার হাত পা বেঁধে দেয় এবং ভয় দেখায় যে এই বিষয়ে কারোর কাছে মুখ খুললে তাঁর এই ভিডিও সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে দেবে। তারপর তারা জায়গা থেকে পালিয়ে যায়।
“পুলিশের অভিযোগের ভিত্তিতে নবালিকাটির গণধর্ষণের অভিযোগে এফাইয়ার দায়ের হয়েছে। ইতিমধ্যেই সেই মহিলা ও একজন পুরুষ অভিযুক্ত কে নাবালিকা শনাক্ত করে এবং সেই ভিত্তিতে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়। তৃতীয় অভিযুক্তের দ্রুততার সাথে খোঁজ চলছে” এমনটাই জানিয়েছেন সার্কেল অফিসার ।
২০১৭ এর উন্নাও ধর্ষিত হল এক বছর সতেরোর মেয়ে। বিচার এ দু বছর পর দোষীরা পেলো যাবজ্জীবন। ২০২০ ধর্ষিত হল আরও এক মেয়ে, সদ্য কাগজে কলমে আঠেরোর গণ্ডি পেরোনো এক দলিত মেয়ে। ঘটনাটির কিছুদিনের মাথাতেই ধর্ষনের সেই চরম ভয়াবহতা আরও নৃশংস ভাবে নেমে আসে, দিল্লির হাসপাতালে মেয়েটি মারা যায়।
ধর্ষণ এর মত বিকৃত মানসিকতা নির্মূল এর ওষুধ কি, তাই খুঁজে যাচ্ছে জনগণ। এরকম আরও কত বাচ্চা রা ধর্ষকের লোলুপ এর স্বীকার হবে ও পরিণতি ঠিক কতটা নৃশংসতার ছাপ ফেললে তবে সরকার কঠোর ব্যবস্থা নেবে, সচেতন হবে ?