খড়গপুর আইআইটি থেকে নাকি হিরণ পোস্ট পিএইচডি করছেন ,এমন দাবি করেছিলেন হিরণ। কিন্তু আপ দাবী করেছে , তার খড়গপুর আইআইটির সাথে তার নাকি কোনো সম্পর্কই নেই তিনি আসলে নাকি পিএইচডি করেছন মেঘালয়ের CMJ ইউনিভার্সিটি থেকে। । তাদের হাতে আছে আইআইটি খরগপুরের থেকে পাওয়া আরটিয়াই কপি । অথচ হিরণ এবারের প্রার্থী হলফ নামায় নিজেকে পোস্ট পিএইচডি রিসার্চ ফেলো হিসাবে নিজেকে উল্লেখ করেছেন ।
২০২১ সালে বিধায়ক হওয়ার সময় হিরণের এফিডেভিটে ছিল তিনি নাকি রবীন্দ্রভারতী ইউনিভার্সিটি থেকে ইংলিশ এ বি.এ ডিগ্রীর অধিকারী। কিন্তু হিরণের সোশাল মিডিয়া অ্যাকাউন্টে লেখা তিনি নাকি আইআইটি খরগপুরের পোস্ট পোস্ট পিএইচডি রিসার্চ ফেলো। দু দিন আগে পুলিশের সাথে তর্কাতর্কি তে হীরণ পুলিশকে নিজের পরিচয় দেয় ডঃ হিরণ্ময় চ্যাটার্জী হিসেবে। কোথা থেকে পেলেন তিনি এই পিএইচডি ডিগ্রী। মেঘালয়ের সিএমজে নামক এক প্রাইভেট ইউনিভার্সিটি থেকে। এই প্রাইভেট ইউনিভার্সিটি নাকি আবার জাল ডিগ্রী তৈরি করার মাস্টার, এমন দাবি ই করছে আপ এর কর্মী। এই ইউনিভার্সিটি তে আগেও নাকি ইডি রেইড মেরেছে এই জাল ডিগ্রী বিপুল অর্থের বিনিময় বেচার অভিযোগে।
আপ এর কর্মীরা আরটিয়াই করে আইআইটি খড়গপুরের কাছে। আইআইটি খড়গপুর থেকে জানানো হয় হিরণ আইআইটি খড়গপুরের কোনো কিছুর সাথেই যুক্ত নয়। এই আরটিয়াই রিপোর্ট নিয়েই ইলেকশন কমিশনের দ্বারস্থ আপ। খুটিয়ে তদন্ত করার আবেদন জানিয়েছে তারা। যদিও হিরণ সমস্ত অভিযোগ অস্বীকার করে জানিয়েছেন, ‘‘এর পিছনে শুধু আপ নয়, তৃণমূলও রয়েছে। কী ভাবে এই রকম আরটিআই রিপোর্ট দেওয়া হল, বুঝতে পারছি না। লোকসভা নির্বাচন মিটলেই আমি খড়্গপুর আইআইটির বিরুদ্ধে হাই কোর্টে যাব।’’
এখন নির্বাচনী হলফ নামায় দেওয়া তথ্য ভুয়া নাকি আরটিআই থেকে প্রাপ্ত তথ্য ভুল সেটা নিয়েই বড় প্রশ্ন । নির্বাচনী বিশেষজ্ঞরা বলছেন , যদি নির্বাচনী হলফনামায় দেওয়া তথ্য ভুল হয় তবে নিয়ম অনুযায়ী বাতিল হওয়া উচিৎ প্রার্থীপদ বা ইলেকশন কমিশন তথ্যের গুরুত্ব বুঝে দিতে পারে অন্য কোনো শাস্তি । আপ ইতিমধ্যেই নির্বাচন কমিশনের দ্বারস্থ হয়েছে এখন দেখার নির্বাচন কমিশন কী ব্যবস্থা নেয় , নাকি গোটা বিষয়টাই ধামাচাপা দেওয়া হবে ? এই পরিস্থিতিতে রীতিমত বিড়ম্বনায় বিজেপির এই অভিনেতা প্রার্থী ।