রাজ্যপাল সাধারণ মানুষকে ডেকে যে সিসিটিভি ফুটেজ দেখিয়েছিলেন তাতে ছিল না রাজ্যপালের চেম্বারের সেই ১৫-১৬ মিনিটের ভিডিও। অভিযোগকারিণীর মতে ২ রা মে কনফারেন্স রুমে রাজ্যপাল তার যৌন হেনস্তা করে। এই ঘটনার তদন্তে এবার রাজভবনের এক চিকিৎসক ও এক সচিব-সহ তিনজনকে তলব করেছে পুলিশ। এই তিনজনকে পুলিশ জেরা করতে চায়।
কলকাতা পুলিশের কাছে যে সিসিটিভি পৌছেছে তাতে দেখা যাচ্ছে অভিযোগকারী মহিলা কর্মী কনফারেন্স রুমের নীচের সিঁড়ি দিয়ে কাঁদতে কাঁদতে নেমে যাচ্ছেন। জানা গিয়েছে, পুলিশের কাছে রাজ্যপালের বিরুদ্ধে অভিযোগ জানানোর আগে সেই মহিলা রাজভবনের এক সচিব এবং এক চিকিৎসকের সঙ্গে কথা বলেছিলেন। তাই এই তিনজনকে জেরা করতে চায় কলকাতা পুলিশ। কিন্তু রাজভবন থেকে কঠোর নির্দেশ আছে যে কলকাতা পুলিশের তদন্তে রাজভবনের কোনো কর্মী যাতে মুখ না খোলে। রাজ্যপাল ও বারংবার অসহোযোগিতা করেছে এই ঘটনার সুস্থ তদন্ত প্রক্রিয়া কে । কিন্তু পুলিশের তরফ থেকে জানানো হয়েছে যে তারা কেউই কোনো ব্যক্তিবিশেষের বিরুদ্ধে তদন্ত করছে না বরং রাজভবনের ভিতরের প্রকৃত সত্য অনুসন্ধান করার চেষ্টা করছে।
তৃণমূলের মন্ত্রী চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য ও কলকাতা পুলিশকে রাজভবনের প্রবেশের নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছিল ঘটনার পর। রাজভবন থেকে সিসিটিভি ফুটেজ দেখার দাবি জানালে সেই দাবিও শোনা হয় না। অগত্যা পূর্ত ভবন থেকে সিসিটিভি ফুটেজ পেয়ে কলকাতা পুলিশ তদারকি শুরু করে, ধীরে ধীরে সেই তদন্ত অগ্রগামী। মহিলার বয়ানের সাথে অনেকটাই মিলে যাচ্ছে ফুটেজের ঘটনা, মিলে যাচ্ছে সময়ের হিসাব। কিন্তু রাজ্যপাল যেহেতু তার পদমর্যাদার জন্য এক সাংবিধানিক শিল্ড পান তাই কতটা সহজ হবে তার বিরুদ্ধে এই তদন্ত চালানো সেটা দেখার বিষয়। কারণ ভারত রাষ্ট্রে স্বাধীনতার পর থেকে এই প্রথমবার এইরূপ ঘটনার নিদর্শন পাওয়া গেল। তাই প্রশাসনের কাছে এই ইস্যু কে সলভ করার কোনো পরিষ্কার রোডম্যাপ নেই।