সবচেয়ে বেশী কন্ডোম ব্যবহার করেন মুসলিম সম্প্রদায়ের মানুষ… এই কথা বললেন AIMIM(মিম) সুপ্রিমো আসুদ্দিন ওয়েসি। তিনি আরও জানান মোদি সরকারের তথ্যই তার এই কথা কে প্রমাণ করে। কিন্তু হঠাৎ কেনই বা মুসলিমদের কন্ডোম ব্যবহার নিয়ে চিন্তিত ওয়েসি??
নরেন্দ্র মোদি নির্বাচনীপ্রচার সভা থেকে কংগ্রেস কে আক্রমণ করে বলেন, কংগ্রেস নাকি দেশের সমস্ত সম্পদ তাদের হাতেই তুলে দেবে যারা নাকি সবচেয়ে বেশী বাচ্চার জন্ম দেয়। এই মন্তব্যকে কেন্দ্র করেই দেশ দুনিয়ায় রাজনৈতিক হাঙ্গামা শুরু হয়ে যায়। কংগ্রেস সহ অন্যান্য বিরোধীরা মোদিকে তার সাম্পরদায়িক মন্তব্যের জন্য তীব্র কটাক্ষ করেন। কিন্তু অন্যদিকে বিজেপির কর্মকর্তারা তাদের অন্যান্য জনসভায় মোদির সুরেই কথা বলে তাদের বক্তব্যে এই ধরনের সাম্প্রদায়িক উষ্কানি দিতেই থাকে ইলেকশন কমিশনের তোয়াক্কা না করে। যদিও ইলেকশন কমিশন ও মোদি ও বিজেপি নেতাদের বিরুদ্ধে এই অভিযোগগুলির তোয়াক্কা করে না। তারা তাদের বিরুদ্ধে কোনো পদক্ষেপ ই নেয় না।
“নরেন্দ্র মোদি আসলে হিন্দুদের মনে ভয় তৈরি করার চেষ্টা করছেন। উনি বোঝাতে চাইছেন মুসলিমরা শীঘ্রই সংখ্যাগুরু হয়ে যাবেন।”
এরই মাঝে মিম(AIMIM) এর নেট আসাউদ্দিন ওয়েসিকে মোদির বক্তব্য প্রসঙ্গে প্রশ্ন করলে ওয়েসি জানান মুসলিম দের জনসংখ্যা নাকি দিন দিন কমে আসছে কারণ মুসলিমরা ই সবচেয়ে বেশী কন্ডোম ব্যবহার করে। নরেন্দ্র মোদির এই মন্তব্য করার অভিপ্রায় হিসেবে হিন্দুদের মনে ভয় তৈরি করিয়ে ভোটব্যাঙ্ক বাড়ানো বলে মনে করেন ওয়েসি। তিনি জানান, ” “নরেন্দ্র মোদি আসলে হিন্দুদের মনে ভয় তৈরি করার চেষ্টা করছেন। উনি বোঝাতে চাইছেন মুসলিমরা শীঘ্রই সংখ্যাগুরু হয়ে যাবেন।” নরেন্দ্র মোদির উদ্দেশ্যে ওয়েসি বলেন,” , “আপনি কেন ঘৃণার দেওয়াল তৈরি করার চেষ্টা করছেন?” এই জনসংখ্যা নিয়ন্ত্রণ ও কন্ডোম ব্যবহার প্রসঙ্গে ওয়েসি বলেন, ” “মুসলিমরা যে সবচেয়ে বেশি কন্ডোম ব্যবহার করেন এই কথা আমি বলছি না, খোদ নরেন্দ্র মোদি সরকারের রিপোর্ট বলছে। তার পরও প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ঘৃণার বাতাবরণ তৈরি করতে চাইছেন দেশজুড়ে। সংখ্যা গরিষ্ঠদের ভুল বোঝানোর চেষ্টা চলছে যে মুসলিমরা সবচেয়ে বেশি সন্তানের জন্ম দেয়। আপনি কতদিন এভাবে ভুল বোঝাবেন? আমাদের ধর্ম আলাদা হতে পারে কিন্তু আমরা এই দেশেরই নাগরিক।”
৩-৪বছর আগে বিজেপির ছোটবড় নেতারা মানুষকে বলত যে ২০২৫ সালের মধ্যে নাকি ভারতে মুসলিমরা সংখ্যাগুরু হয়ে যাবে। ভারতের প্রধানমন্ত্রী ও নাকি মুসলমান হয়ে যাবে। তারা প্রথম থেকেই এভাবেই ঘৃণার প্রোপাগান্ডা চালিয়েছে যে মুসলমান মানুষেরা একাধিক বিয়ে করে ও অগাধ সন্তান উৎপাদন করে। কিন্তু ভারত সরকারেরর পরিসংখ্যান একেবারেই এই দাবির বিপরীত। লোকসভা ভোটের আগে আবার তাদের ঘৃণার সংস্কৃতি কে চর্চা করে ভোটব্যাংক বাড়াতে চায় কি বিজেপি? আদেও কি কাজ করবে তাদের এই ফন্দি? তার উত্তর দেবে ২৪ এর নির্বাচনের ফলাফল।